বাড্ডা এলাকায় ভবন নির্মাণে যতবেশী ঝুঁকি-ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ততবেশী খুশি

প্রকাশিত: ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

রিপোর্টিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝুঁকি পূর্ণ ভবন নির্মাণের কারনে রাজধানীতে বাড়ছে দূর্ঘটনা। আমরা সাপ্তাহিক রিপোর্টিং এ নিয়মিত এ সচেতনা মূলক প্রতিবেদন ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবার পরেও রাজউক জোন-৪ এর বাড্ডা এলাকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের টনক নড়ছে না। হয়তো অপেক্ষা করছেন সম্পতি সায়েন্সল্যাব,সিদ্দিক বাজার,চট্টগ্রামের মতো মত আরেকটি দূর্ঘটনার।

আমাদের ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ প্রকাশিত সাপ্তাহিক রির্পোটিং এ “নির্মাণে রাজউকের অনুমতি নেই,বিক্রি হচ্ছে ফ্ল্যাট” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়,০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ প্রকাশিত সপ্তাহিক রির্পোটিং এ রাজউক আমার হাতের মুঠোয় বলে হুমকি ভবন মালিকের শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়,১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ প্রকাশিত সাপ্তাহিক রির্পোটিং এ “ রাজউকের শত্রু রাজউক কর্মকর্তা,দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষার ভূমিকায় ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিটি প্রতিবেদন বদিউল আলমের ৩/৫ হোল্ডিং-দক্ষিন আনন্দ নগর,আনসার ক্যাম্প এলাকায় অনুমোদনহীন ভবনের। এই ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে মাল্টি পারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে এমআরএ সনদ ছাড়া অবৈধ্য ব্যাংকিং কাযক্রম পরিচালনাকারী ও অনুমোদনহীন ভবনের মালিক বদিউল আলমের সাথে মোট অংকের টাকা লেনদেন এর মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে উঠে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের। বদিউল আলমের নুন খেয়ে বেইমানি করেননি ইমারাত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বদিউল আলমকে আইনি পরামর্শ দিয়ে ভবন উচ্ছে বন্ধ রাখার কৌশল শিখিয়ে দেন। তাতে বদিউল আলম অনুমোদনহীন অবৈধ্য ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করে হচ্ছেন লাভবান আর লাভের ভাগ পাচ্ছেন ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।

গত ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ প্রকাশিত রির্পেটিং-এ “রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় অবৈধ্য বাড়ি নির্মাণের হিড়িক,নিশ্চুপ রাজউক” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল একই। অবৈধ্য ভবন মালিকের সাথে ইমারত পরিদর্শকের সমঝোতা। আমাদের ১২ই মার্চে প্রকাশিত সাপ্তাহিক রিপোর্টিং এ “বাড্ডা এলাকায় গড়ছেন বহুতল মৃত্যু কুপ, দৃষ্টি গোচর হয়না রাজউকের” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশের পরেও রাজউককে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি মনে প্রশ্ন জাগায় কত প্রাণ গেলে সচেতন হবে রাজউক?

অত্র এলাকার ইমারত পরিদর্শক আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়, তিনি নির্বিচারে নির্মাণাধীন ভবন থেকে উৎকোচ গ্রহণের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি প্রতি সপ্তাহে সাইট পরিদর্শন করেন, কেবল মাত্র আপ্যায়ন নামক উৎকোচ গ্রহনের জন্য।

বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকার পরেও ভবন নির্মাতাদের অজ্ঞতা ও উদাসীনতা বিল্ডিংকোড মেনে ভবন নির্মাণে অনিহা ও নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা, ফলে প্রায়শই ভবন হেলে পরার মত ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে ৬.৫ মাত্রা ভূমিকম্প হলে কেবল মাত্র ঢাকাতেই ৫০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে অনেক প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটবে।

ভবন নির্মাণ আইন কঠোর ভাবে পালনের জন্য রাজউক কর্মকর্তাদের নিয়মিত সাইট পরিদর্শন ভবন নির্মাতাদের সচেতন হতে বাধ্য করবে।
অথচ, ইমারত পরিদর্শক গণ অধিকাংশই কাগজে কলমে পরিদর্শন করে থাকেন সাইট, কেবল মাত্র উৎকোচ গ্রহণার্থে সাইট ভিজিট করে থাকেন।

এসকল বিষয়ে কথা বলার জন্য ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি । ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।