সমাহার এন জি ও”র ভূয়া সনদ ব্যাবহার করে কয়েকশত কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছেন-এইচ এম আনোয়ার হোসেন অনিক

প্রকাশিত: ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব

রিপোর্টিং,বিশেষ প্রতিনিধি : সমাহার নামে বেসরকারী সংস্থা এনজিও যাহার সমাজ সেবা রেজিঃ নং- ঢ-০৩১২৩, ঠিকানা: ৯১১ শহীদবাগ, ঢাকা। রেজিষ্টেশন লাভের পর হতে সংস্থাটি একই ঠিকানায় অবস্থান করে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছে। সংস্থাটির জন্ম লাভের পর হতে নিয়মিত সমাজ সেবা অধিদপ্তর হতে ২ বৎসর মেয়াদী কমিটি অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

গত ০৫/১১/০৩ তারিখে সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর কমিটিতে এইচ.এম. আনোয়ার (অনিক) সেক্রেটারী পদে নিযুক্ত হয়ে একই সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্বারক নং-সসেঅদ/ঢাঃজেঃ/শা-৩/৩৬১০ তারিখ ৬/১১/০৩) সমাহারের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সাটিফিকেট এর ফটো কপি সংগ্রহ করে ( বর্তমানে দখলদারী সমাহার এনজিও ও নির্বাহী পরিচালক মোঃআনোয়ার হোসেন অনিক এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সদন লাভ করে। যাহার নং-২৩১০, তারিখ ২৬/০২/২০০৮। ঠিকানা: ২/৮, ব্লক-ডি, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭।

এখানে একটি দর্শনীয় বিষয় হলো সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অনুমোদিত কমিটির ঠিকানা-৯১১ শহীদবাগ, ঢাকা। পক্ষান্তরে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো হতে ইস্যুকৃত সনদ-২/৮, ব্লক-ডি, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭। প্রশ্ন হলো এটা কী করে সম্ভব। দখলদারী সমাহার এনজিও ও নির্বাহী পরিচালক মোঃআনোয়ার হোসেন অনিক এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সনদ লাভের পর হতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভিজিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে যেখানে শর্ত ছিল সমাজ সেবা/মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সনদ ২টার মধ্যে যে কোন একটা আবশ্যিক এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সনদ বাধ্যতামূলক সেক্ষেত্রে দখলদারী সমাহারের সমাজসেবা/মহিলা বিষয়ক সনদ কোন টাই নাই তাহলে কি হিসাবে ভিজিটি  প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে?  জমাকৃত প্রকল্প প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করলে বেরিয়ে আসবে সত্য ঘটনা।

গত ০৯/০৭/২০১২ সালে দখলদারী সমাহার এনজিও  বিষয়ক ব্যুরোর সনদ নবায়নের সময় সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কমিটির তালিকা জাল ও সমাজ সেবার স্বারক জাল করে কমিটি নবায়ন করেছে যা এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ফাইল পর্যালোচনা করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। স্বারক যে জাল তার বড় প্রমাণ আদাবর হলো সমাজ সেবা কার্যক্রম অঞ্চল ৬ এর অধীনে অথচ স্বারক ব্যবহার করা অঞ্চল-৪ এর এবং কপি দিয়েছে অঞ্চল-২ এ এতেই প্রমাণিত হয় সকল বিষয় ভূয়া।

স্বারক ও সনদ জাল করে অন্যের সনদ ব্যবহার করে দখলদারী মোঃআনোয়ার হোসেন (অনিক) এ যাবত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর যেমন, বেপজা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, হাইসাওয়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, সড়ক অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে অবৈধ পন্থায় সরকারী দাতা সংস্থার অর্থ অপচয়/আত্বসাৎ করে আসছেন।

এ বিষয়ে মুল সমাহার এর সভানেত্রী সালেহা আহমেদ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত রির্পোটিংকে বলেন, সমাহার এর সভানেত্রী সালেহা আহমেদ এর অভিযোগটি আমরা অতি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ইতি মধ্যে আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। ভূয়া সনদ দিয়ে ভিজিডি প্রকল্পে এত টাকা এইচ এম আনোয়ার অনিক এর সমাহার কি ভাবে পেলো জানতে চাওয়া হলে পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত বলেন, আমরা তো তখন ছিলাম না যিনি ছিলেন তিনি বলতে পারবেন সম্ভবত এন জি ও ব্যুরোর সনদ দিয়ে কাজ নিয়েছেন।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরো রেজিস্টার মিজানুর রহমানের কাছে ভুয়া সনদ দিয়ে কি ভাবে এইচ এম আনোয়ার অনিক এনজিও ব্যুরোর রেজিষ্ট্রেশন পায় জানতে চাওয়া হলে এই প্রতিবেদক কে মিজানুর রহমান বলেন, গয়েন্দা রির্পোটের ভিত্তিতে এনজিও ব্যুরোর রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছেন।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর হতে একটা অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতি মধ্যে বিষয়টি তদন্তের কাজ শুরু করেছি । এইচ এম আনোয়ার অনিকের নকল সমাহার এনজিও” তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন এ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মোস্তাজিনা পারভীন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি এখনও তদন্ত শুরু করতে পারিনি তবে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবো।

রির্পোটিং আনোয়ার অনিকের ভূয়া এনজিও মাধ্যমে কয়েকশত কোটি টাকা আত্নসাৎ বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রেখেছে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।