তানভির হোল্ডিং লিঃ রাজউকের আইনের তোয়াক্কা না করে ধারাবাহিক ভাবে ভবন নির্মাণ

প্রকাশিত: ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

রিপোর্টিং,নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানাধীন এলাকা জুড়ে রাজউকের নকশা ও নিয়ম না মেনে অবাধে নির্মাণ হচ্ছে অবৈধ বহুতল ভবন। রাজউকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে এসব ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও এসবের তোয়াক্কা করেন না রাজধানীর এ এলাকার বাড়ির মালিকগন ও ডেভলপারগন।

ইমারত নির্মাণের নীতিমালায় বলা আছে রাস্তা হতে বাড়ির সম্মুখ অংশ ও পিছনের অংশ সহ অপর দুই পাশে কতটুকু জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে, ১০তলার অধিক ভবন নির্মাণে ও বানিজ্যিক ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস,পরিবেশ অধিদপ্তর,গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক এসবের সাথে স্মোক ডিটেক্টর,ফায়ার ডিটেক্টর,ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোসহ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও রাজউক জোন ৩ এর জমির মালিক গন কেহই মানেন না এই নিয়মনীতি।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রবন অঞ্চল হওয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ একটি ভবনের কারনে যাহাতে পার্শ্ববর্তী ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বা উদ্ধার কার্য্য যাহাতে ব্যহত না হয় সেই জন্যই ভবন নির্মাণে রাজউক নির্ধারিত ফার নির্ধারণ করে ভবনের প্ল্যান অনুমোদন দেয়া হয়। ইদানীং সময়ে ভবনের সুয়ারেজে বা ভবনে বিস্ফোরণ বা অগ্নিকান্ডে উদ্ধার কার্য সঠিক সময় সঠিকভাবে করার জন্যেও ফার ও বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন, অথচ সামান্য কিছু মুনাফার জন্য তৈরী করা হয় এই মৃত্যুর ফাঁদ। একটি দূর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়ে যায় দূর্ঘটনাস্থলের চার পাসের এলাকা। এরপর ও কিভাবে নির্মাণ হচ্ছে এসকল ভবন? তদারকির দায়িত্বে থাকা রাজউকের কর্মকর্তাদের ভূমিকা কি শুধুই নোটিশ করা?

রাজউক জোন-৩ এর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানাধীন এলাকায় তানভির হোল্ডিংস লিঃ এর নির্মানাধীন অধিকাংশ ভবনে রাজউকের কোন আইন মানা হয়নি, এ সম্পর্কে ভূমি মালিকগন ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাইট ইন্জিনীয়ারদের নিকট জানতে চাইলে সাপ্তাহিক রিপোর্টিং’কে জানান তাহারা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য ও লেবার কষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় যতটা সম্ভব ছাদ বৃদ্ধি করতে চষ্টা করেন। আর এসব কিছুই রাজঊককে খুশি করেই করতে হয়।

সরজমিনে গিয়ে আরও দেখা যায় ডেভলপারদের দৌরাত্ব ও ঔদ্ধত্বতা, আবাসিক ভবনকে বানিজ্যিক ভবনে রূপান্তর, নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার সহ মাত্রাতিরিক্ত ডেভিয়েশন করে ভবন নির্মাণ করা তাদের কাছে নিত্ত-নৈমাত্তিক বিষয়। তেমনই এক ডেভলপার তানভির হোল্ডিংস লিঃ। ডেভলপার তানভির হোল্ডিংস লিমিটেডের নুরজাহান রোডের বিসমিল্লাহ ভিলা, আবাসিক ভবনকে বানিজ্যক ভবনে রূপান্তর করছে এবং এই ভবনে কোন প্রকার জায়গা না ছেড়ে সমম্পূর্ণ জমির আয়তন জুড়ে ভবন নির্মান করা হয়েছে।

এরূপ,পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটিতে তানভির ভিলা, শেখের টেক এর বাগান বিলাস, আজিজ মহল্লার শরিফা নূর, আজিজ ভিলা, তামান্না ভিলা, বিল্লাল ভিলা, নশুয়া ভিলা ও সালেহা ভিলা নামক ভবন গুলো নির্মাণ করা হয়েছে কোন প্রকার জায়গা না ছেড়ে সমম্পূর্ণ জমির আয়তন জুড়ে। এমনকি কিছু প্লটের পিছনে সরকারী হাউজিং এর সুয়েরেজ লাইনের জায়গার উপর ২য় তালা থেকে প্রায় দুই ফুট বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়েছে।

এ সকল বিষয়ে ডেভলপার তানভির হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাতেম আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি ঔদ্ধত্ব পূর্ণ কণ্ঠে বলেন নুরজাহান রোডের সকলেই আবাসিক অনুমোদন নিয়ে কমার্শিয়াল করছে তাই আমিও করেছি।

গত ১২ মার্চ সাপ্তাহিক রিপোর্টিং এ “তানভির হোলডিংস লিমিটেড রাজউকের নিয়ম না মেনেই তৈরী করছেন ভবন, রাজউকের চোখের সামনেই” শীরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বশেষ অবস্থা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক সেলিম বকাউলের নিকট জানতে চইলে তিনি বলেন আমি তানভির হোল্ডিংসের সব প্রজেক্ট ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো, গত সপ্তাহ জুড়ে আমরা বেজমেন্ট যুক্ত ভবন নিয়ে কাজ করেছি তাই এ সপ্তাহেই ভিজিট শুরু করবো।