অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের মাল্টিমিডিয়া অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতি-গর্ভনিং বডির সভাপতি মুরাদ এর অসহায় আত্নসমর্পণ-পর্ব-২

প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২৩

রিপোর্টিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ জানুয়ারি রির্পোটিং এর ৪৮ তম সংখ্যায় অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের মাল্টিমিডিয়া অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আসে। শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশিত সংবাদটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রফেসর মোঃ মনোয়ার হোসেনকে।

অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৩৯৫ পৃষ্ঠার প্রমাণ পত্র সহ ০৯/১১/২০২০ তারিখে সহকারী অধ্যাপক(তখন ছিলেন) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। সম্ভবতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আবেদনটি মন্ত্রীর নজরে আনেন নি বিধায় আবেদনের বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তবে ২৮/১০/২০২০ সালের দূর্নীতি দমন কমিশন এর আবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়। যা ইতি মধ্যে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমতগীর,আবুল কালাম আজাদ, উপ-পরিচালককে দায়িত্ব দিয়ে পরিদর্শন শেষ করে ইতি মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদন শেষ করেছেন। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও পরিদর্শন প্রতিবেদন পেতে তিন থেকে চার বছরও লেগে যেত। যা এখন তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। আরও একটা বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ না করলেই নয় যা এই প্রতিবেদকের সামনে ঘটেছিল।

হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বন্ধ করতে প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হক পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমতগীরকে কয়েকবার ফোন করে পরিদর্শন না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন কিন্ত পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমতগীর পরিদর্শন করতে অটল থাকেন এবং পরিদর্শন শেষ করে ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে মাধ্যমিকও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সভাপতি হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ, অধ্যক্ষ হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজকে সংযুক্ত ছকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্রডশীট জবাব টিএমইডি/মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রেরণ নিশ্চিত করতে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কিন্তু এক বছর দশ মাস অতিবাহিত হলেও অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন ব্রডশীটের কোন জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। ব্রডশীটের জবাব চেয়ে মাধ্যমিকও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পর পর তিনটি চিঠি দিলে তারও কোন উত্তর দেয়নি অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। ব্রডশীটের জবাব ও চিঠির উত্তর না দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানোর কথা থাকলেও মাধ্যমিকও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে মোঃ এনামুল হক হাওলাদার উপ-পরিচালক বেসরকারী কলেজ শাখা-২ সাথে এই প্রতিবেদকের একাধিকবার কথা হয়েছে কেন মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে না। উপ-পরিচালক এনামুল হক হাওলাদার দিচ্ছি দিবো করে পার করেছেন দুই বছর। দূর্নীতিবাজ ময়েজ উদ্দিন রয়েছেন বহাল তবিয়তে মন্ত্রণালয় নিতে পারেনি কোন ব্যবস্থা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও রহস্য জনক। ২০১৯ সাল থেকে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হলেও আজ অবদি একটা তদন্ত কমিটি হয়নি-ব্যবস্থা তো দুরের কথা। অথচ অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দিলে তার কমিটি গঠন করে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অবস্থা বিশ্লেষণ করলে যে কারো মনে হতেই পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের হাতে।

“আর্থিক অনিয়ম,দূর্নীতি” ধাপ-১

গত ১২/০১/১০১৮ ইং তারিখে বিভিন্ন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কলেজের মোট বেঞ্চ সংখ্যা ৭৯৪টি কিন্তু অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন অর্থ আত্নসাৎ এর জন্য ১৬০০টি আসনের বিপরীদে ৫৬০০ জনের আসন ব্যবস্থা করেন। সীমিত আসনের বিপরীতে অধিক পরিক্ষার্থী বসতে না পরায় হট্টোগোল শুরু হয়,পরিক্ষার্থীরা হল থেকে বেড়িয়ে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের ভিডিও সহ ছবি পাঠাতে থাকে ফলে নিমিষেই সোস্যাল মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে।

ফলে হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজের কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক সকল কেন্দ্রে পরিক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়। পরিক্ষা বাতিল হলেও অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন এই অনিয়মের মাধ্যমে কম/বেশী ২১,০০,০০০/-(একুশ) লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন। অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের দুর্নীতি কার্যকলাপের জন্য ২০১৭ ইং সালের হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ এর উচ্চ মধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র ঢাকা শিক্ষা র্বোড বাতিল করে এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম কেন্দ্রও বাতিল করা হয়। অনেক দিন ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রও বাতিল ছিল।

“নিয়োগ বাণিজ্য”

এক,দুই নাম্বার সিরিয়ালে থাকা যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে পাঁচ নাম্বার সিরিয়ালে থাকা প্রার্থী মোঃ কছিম উদ্দিনের স্ত্রী হাবিবা খাতুনকে জীব বিঞ্জানের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন। কছিম উদ্দিন অধ্যক্ষের অপকর্মের সহযোগী।

৭ নাম্বার সিরিয়ালে থাকা হাবিবুল্লা বাহারকে এ্যকাউটিং শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। বাদ দিয়েছেন এক নাম্বরে থাকা উত্তম কুমারকে। উত্তম কুমার এই প্রতিবেদককে বলেন,অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন নিয়োগের জন্য আট লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়ে ছিল টাকা দিতে না পরায় অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন আমার এবং সিরিয়াল দুইয়ে থাকা প্রার্থীর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন।

প্রার্থী নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন বলেন,গর্ভনিং বডির সদস্য চেয়েছেন বলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোন সদস্য চেয়েছেন জানতে চাওয়া হলে নাম বলতে পারেননি। মোঃ কছিম উদ্দিনের কাছে তার স্ত্রীর নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানান। নিয়োগ বিষয়ে র্গভনিং বডির সাবেক সদস্য হাসেম খানের কাছে জানতে চাওয়া হরে তিনি বলেন, তিনি কোন অবৈধ্য নিয়োগ দেন নাই এবং নিয়োগ পত্রে কোন স্বাক্ষর করেন নাই। এই দুটি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।

“ব্যবসা বাণিজ্য”

অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন ইন্জিনিয়ার আনিসুর রহমানের সাথে যৌথ ব্যবসা ব্যবসা করেন। অবশ্য ব্যবসার চুক্তি করেছেন তার মেডিক্যাল পড়ুয়া ভাগ্না রিফাতুল ইসলাম মিরনের নামে কিন্তু ব্যবসার অংশীদার ইন্জিনিয়ার আনিসুর রহমানের কাছ থেকে ব্যবসার অংশের টাকার চেক নিজের স্বাক্ষরে গ্রহণ করেছেন। উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড এর চেক নং-৪৪৬৭৮২০ টাকা গ্রহনের তারিখ- ২৫/০৫/২০২১ টাকার পরিমান দশ লক্ষ,চেক নং- ৪৪৬৭৮২১ গ্রহনের তারিখ ১১/০৪/২০২১ টাকার পরিমান সাত লক্ষ,চেক নং ৪৪৬৭৮২২ গ্রহনের তারিখ ১৫/০৭/২০২১ টাকার পরিমান ছয় লক্ষ পচাত্তর হাজার,চেক নং ৪৪৬৭৮২৩ গ্রহনের তারিখ ০৮/০৬/২০২১ টাকার পরিমান চার লক্ষ পঁচিশ হাজার,চেক নং ৪৪৬৭৮২৪ গ্রহনের তারিখ ২৩/০৬/২০২১ টাকার পরিমান সাত লক্ষ,চেক নং ৪৪৬৭৮১৬ গ্রহনের তারিখ ০৮/০৪/২০২১ টাকার পরিমান সাত লক্ষ টাকা।

“আদালতে মিথ্যা তথ্য ”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯ এর ধারা-২৭ অনুযায়ী গর্ভনিং বডির মেয়াদ শেষ হবার তিন মাস আগে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্য হতে হবে (১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃক মনোনিত গর্ভনিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য (২) গর্ভনিং বডি কর্তৃক মনোনিত এমন একজন শিক্ষক যিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। (৩) অধ্যক্ষ যিনি রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। গর্ভনিং বডি গঠনের লক্ষ্যে উল্লেখিত বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী তফসিল,বিভিন্ন ক্যাটগরির নির্বাচনী ফলাফল এবং মনোনয়ন পত্রে উক্ত কমিশনের সকল সদস্যর স্বাক্ষর সম্বলিত (নাম ও পদবী উল্লেখ করে) সকল কাগজপত্র সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।

বর্ণিত নিয়মানুসারে গর্ভনিং বডি গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হলে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিলে তবেই হবে বৈধ্য গর্ভনিং বডি। কিন্তু হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন নিজেকে গর্ভনিং বডির সদস্য দাবী করে হাইর্কোটে রীটকারী (রীট নং-১২২৩০) মোঃ সাইফুল ইসলাম খান স্বপন গর্ভনিং বডির কোন বৈধ্য সদস্য নন। এবং আদালত থেকে রীটের আদেশের কপি কলেজে আসার পূর্বেই ১৮/১২/২০২১ তারিখে কলেজের অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে অফিসে ঢোকেন। যা ততকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো ফকরুল ইসলাম শাহ আলী থানার সাধারন ডাইরীতে উল্লেখ করেন। আদালতের আদেশে ময়েজ উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষর দায়িত্ব পেয়ে থাকে তাহলে কলেজের তালা ভেঙ্গে কেন অধ্যক্ষর চেয়ার দখল করতে হবে ? এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে জানানোর পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি!

“সভাপতির বক্তব্য”

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সংক্ষেপে (মাউশি) মানে কি ও মাউশির কাজ কি তাও জানেন না সমাজ বিঞ্জানের শিক্ষক উপাধ্যক্ষ রানা ফেরদৌস রত্না,র মাধ্যমে- সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু ডিও লেটারে গর্ভনিং বডির সভাপতি হওয়া মুরাদ হোসেন। তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান মাউশির আসলে কাজ কি। সভাপতির কাছে রির্পোটিং থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অপকর্ম, দূর্নীতির মাল্টিমিডিয়া অভিযোগের বিষয়ে আপনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তিনি রির্পোটিংকে বলেন, আমার কথা কেউ শোনেন না। গর্ভনিং বডির সদস্য সাইফুল ইসলাম আকাশ এমপির লোক হওয়ায় তার কথা মতো আমাকে চলতে হয়। রানা ফেরদৌস রত্না, উপাধ্যক্ষ হবার পর নিয়মিত কলেজে আসেন না যেদিন কলেজে আসেন সেদিন আসেন দুপুরে। কলেজে এসে অধ্যক্ষর রুমে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে যান তার নামে অনেক অভিযোগ।

অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন না কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা আমার নাই। যেহেতু আপনি কাজ করতে পারছেন না সেহেতু সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি পদত্যাগ করবো না, রির্পোটিংকে বলেন আমাকে একটু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে বসার ব্যবস্থা করে দেন, আবার বলেন আমি ভিসিকে বলেছি আমার সাথে দেখা করতে। ভিসি আমার সাথে দেখা করলেই সমস্যা মিটে যাবে। তিনি আরো বলেন,আমার সময় মানে এখন অধ্যক্ষ যাতে কোন দূর্নীতি করতে না পারে সেদিকটা আমাকে দেখতে বলেছেন এমপি সাহেব।

আগে যে সব অনিয়ম-দূর্নীতি করেছে সেগুলো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। জানতে চাওয়া হয়েছিল তাহলে ২২/০২/২০২৩ তারিখে পিঠা উৎসব এর খরচ দেখানো হয়েছে দুই লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা এটাকে আপনি কি বলবেন ? তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে বলেন আসলে আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাহলে আপনার বাধা কোথায় একথা শুনে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেন বলেন আসলে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের সকল অনিয়ম, অপকর্ম, দূর্নীতি’র সমর্থন দেন সংসদ সদস্য(এমপি)বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু। তিনি যেহেতু চান না অধ্যক্ষ দূর্নীতি হউক সেহেতু অধ্যক্ষ”র দূর্নীতি বন্ধ হবে না আমিও কিছু করতে পারবো না।

চলবে………………………….