শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিন নিজের অবৈধ শতকোটি টাকার হিসার রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন

প্রকাশিত: ২:৩১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৩

রিপোর্টিং,নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও ঢাকায় একাধকি আলশিান বাড়ি ও ফ্ল্যাট, গ্রামরে বাড়ীতে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবধৈ সম্পদ, বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে।

হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিন একই অফিসে দীর্ঘদিন আছেন। একই অফিসে বহু বছর থাকার কারণে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম করে আসছেন। শুধু তাই নয়, এই কর্মকর্তার রয়েছে বিশাল ক্ষমতাসীন একটা সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। আর এই সিন্ডিকেট জিম্মি করে রেখেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। এই অফিসে কর্মকর্তা সহ সেবা প্রার্থীরা জিম্মি রয়েছে এই হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিনের সিন্ডিকেট ও দালাল চক্ররে কাছে।

এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ র্দুনীতি অনিয়ম শত শত অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন নথিপত্র জাল জালিয়াতি এর মাধ্যমে এবং রোগীদের নিকট টিকেট বাবদ গ্রহনকৃত অর্থ সরকারি হিসাবের খাতা জমা প্রদান না করে তিনি উক্ত টাকা নিজে আত্মসাৎ করার অভিযোগ। হাসপাতালে বিভিন্ন বার্ষিক বাজেটর অর্থ সঠিক ভাবে হিসাব প্রদান না করে তথ্য গোপন করে।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতি করে, অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহন করে তিনি ও তার পরিবার অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এসব অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে গত ১৪-০২-২০৩ ইং তারিখে, মোঃ মোক্তার হোসেন, হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,রাজধানী মিরপুর টোলারবাগ আবাসিক এলাকায় বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকা তার নিজের নামে একটি সাত তলা বাড়ি রয়েছে। বাড়ির নাম্বার ৫২০/৩ মোহাম্মদপুর,বসিলা,ঢাকা। ফ্ল্যাট ৫/বি, বাসা নাম্বার ৯৭১, রোড নাম্বার ১০ মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় তার স্ত্রীর নামে দুটি প্লট। মিরপুর পিরেরবাগ ১০ কাঠার উপরে একটি মার্কেট রয়েছে জানা যায়।

তার পরিবারের নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাবে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে,সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, কিছু অসাধু অফিসারের ও পরিচালকের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম- দুর্নীতি করে আসছেন। শুধু তাই নয় নাসির উদ্দিন কথা অবাধ্য হলে বদলি করে দেয়। তার সিন্ডিকেটের কারণে এখানে ভালো কনো সৎ অফিসার বেশি দিন থাকতে পারেনি। রহস্যজনক কারনে নাসির উদ্দিন প্রতি সদা দয়াবান কর্তৃপক্ষ। এই কারনে তার জবাব দিহিতা করতে হয়না।

তিনি আরো বলেন,নাসির উদ্দিনের ঢাকা শহরে একাধিক আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লট সহ ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে। নাসির উদ্দিনকে মিরপুর টোলারবাগ জমিদার অভিহিত করা হয়। ক্ষমতা ও টাকার দাপট এতটাই যে, ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয় না।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, নামে বেনামে ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। উক্ত এফডিআর এর পরিমাণ ৮০- ৯০ লক্ষ টাকা জানা যায়। নাসির উদ্দিনের এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, নাসির উদ্দিন শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তার পরিবার ও আত্বীয় স্বজনের সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিনের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাধারণ কর্মচারীগণ। ইতোমধ্যে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মোঃ মোক্তার হোসেন, নাসির উদ্দিনের অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেছেন।

অনিয়ম দুর্নীতির ও দুদকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, দুদুকে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না। আমার দুদকের লোক রয়েছে। আমার হাত অনেক লম্বা। আপনাদের যত ইচ্ছা নিউজ করেন আমার কিচুই হবে না। দুদক আমার কিছুই করবে না।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানের কাছে, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদুকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আপনাদের লেখালেখির কারণে দুদক ডাকাডাকি করে। আমার কাছে দুজনের নামে চিঠি আসছে। তারা হাজিরা দিয়ে আসছেন দুদুকে।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির বিষয় দুদক তদন্ত করবে আপনারা লেখালেখি করেন কেন! শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলমান- পর্ব ১