রাজউকের শত্রু রাজউক কর্মকর্তা, দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষার ভূমিকায় ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ

প্রকাশিত: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

রির্পোটিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্ব আনন্দ নগর বাড্ডায় বদিউল আলম নামীয় এক ভূমি মালিক এর রাজউক এর অনুমোদন বিহীন ভবন নির্মাণকারীর নিকট হতে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের বিনিময়ে ভূমির মালিককে পরামর্শ দিয়েছেন রাজউকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করার জন্য।

অনুসন্ধানে ভূমির মালিক বদিউল আলম এর নিকট থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়া যায় যে, মাঠ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আমার নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে এসে দেখন যে, আমার ভবনে রাজউকের কোন অনুমোদন নেই, এরই প্রেক্ষিতে আবুল কালাম আজাদের নিকট এর সমাধানে পরামর্শ চাইলে তিনি আমাকে বলেন,আপনি অপ্রসস্থ রাস্তার কারনে কখনোই প্ল্যানের অনুমোদন পাবেন না, একটা পরামর্শ আপনাকে দিতে পারি যেখানে সাপ ও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবেনা। বিনিময়ে আমাকে খুশি করতে হবে।

বদিউল অলমের ঘনিষ্ট সূত্রের দাবী আমি তার সাথে দরকষাকষি করে ৩০ লক্ষ টাকা দেই এবং এর বিনিময়ে আবুল কালাম আজাদ আমাকে দ্রুত ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার পরামর্শ দেন এবং হাইকোর্টে রাজউকের বিরুদ্ধে একটি রীট করতে বলেন, এবং আবুল কালাম আজাদ তার অথরাইজড অফিসার কেউ মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন । তারই পরামর্শে বদিউল আলম হাইকোর্টে রীটের আবেদন করেন যদিও এখনো আদালত রীটের বিষয়টি আমলে নেননি কিন্তু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, প্রতিবেদকে চুপ রির্পোট না করার বিনিময়ে খুশী করার প্রস্তাব দেন।

অপর দিকে পূর্ব বাড্ডার হাজী সেকান্দার বাগ রোডের বাড্ডা মৌজাধীন আরএস দাগের ৬৬০৫ নম্বরের প্লটের প্ল্যান বিহীন ভবনের মালিক কামাল উদ্দিনের নিকট থেকেও ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহনেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। বদিউল আলমের ঘনিষ্ট সূত্রের এসকল তথ্য কথপোকথন এর রেকর্ড রিপোর্টিং এর নিকট সংরক্ষিত।

এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের নিকট জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে প্রথমে বলেন রীটের কথা বলে বিল্ডিং উচ্ছেদ করা যাবে না বলে জানান, প্রতিবেদক রীট এখনও গ্রহণ হয়নি বলার সাথে সাথে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আমতাআমতা করে মোবাইল লাইন কেটে দেন। তারপর বারবার কল দিলেও মোবাইল রিসিভ করেননি-ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর দেয়নি।

জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগী রাজউকের এ মাঠ পরিদর্শক নিজ হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্য রাজউকের বিরুদ্ধেই মামলা করার মত পরামর্শ দান করতে পারাটা কতটা ন্যায় সঙ্গতিপূর্ণ এটাই এখন ভাবিয়ে তুলছে নগরবাসীদের। আবুল কালাম আজাদ এর সীমাহীন দূর্নীতির আরো খবর জানতে ও পড়তে রিপোর্টিং এর আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন।