ঢাকা শিশু হাসপাতালের আতঙ্কের নাম আনসারের পিসি আ: জলিল

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৩

রির্পোটিং,বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ছিল,সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খলা এবং সেবার মান বৃদ্ধি লক্ষ্যে,বাংলাদেশের বৃহত্তম সুশৃঙ্খল বাহিনী “বাংলাদেশ আনসার বাহিনীকে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। তবে কিছু সংখক অসাধু সদস্যদের জন্য পুরো আনসার বাহিনীর সুনাম খুন্ন হচ্ছে।

এখন “ঢাকা শিশু হাসপাতালে ” আনসার বাহিনীর দায়িত্বে থাকা পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) জলিল একটি আতঙ্কের নাম। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তার সাথে অসহায় রুগীকে সহযোগিতা ও সেবা পাওয়ার সহযোগিতার কাজে নিয়োজিত থাকবে সুশৃঙ্খল এ আনসার বাহিনী। প্রতিরোধ করবে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের দালালদেরকে। এখন দেখা যাচ্ছে তার উল্টো।

বর্তমানে আনসার বাহিনীর ছত্রছায়ায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য চলছে। সর্বশান্ত করছে রুগির আসহায় অভিবাকদেরকে। টাকার জন্য বিভিন্ন তাল বাহনা করে জিম্মি করে রাখে রুগীর স্বজনদেরকে। বর্তমানে ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরাই বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল চক্রের পৃষ্টপোষক ও মদতদাতা পিসি জলিল মৃধা।

তিনি কর্মরত আছেন ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনিষ্টিটিউট” শেরে বাংলা নগর,ঢাকা। তার আইডি নং ৫২৮৯০, তিনি এবং তার আস্থাভাজন কিছু সংক্ষক আনসার সদস্য নিয়ে গড়ে তুলেছেন (পিসি জলিলি প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল চক্র বাহীনি) যাদের কাছে জিম্মি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অসহায়,গরিব (রুগীর)মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা। তাদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ই হল পিসি জলিলি প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল চক্র বাহীনির কাজ।

তারা রুগী ভর্তি,বেড ব্যবস্থা,ঔষধ সরবরাহের ও গেট পাসের নামে শুরু করে বানিজ্য। সবসময় শোনা যেত ডাক্তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট দিয়ে কমিশন পায়, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আনসারাদের মনোনীত প্যাথলজি এবং প্রাইভেট ক্লিনিকে রুগী সরবরাহ করে কমিশন ও রুগী প্রতি (৮-১০) হাজার টাকা ছাড়াও মাসোয়ারা পায় এবং টেস্টের কমিশন তো আছেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়,গ্রাম থেকে ছুটে আসা অসুস্থ্য শিশুর অসহায় মা-বাবাকে ভুল বুঝিয়ে উন্নৎ চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে তুলে দেন প্রাইভেট হাসপাতাল নামের কিছু কষাই খানায়। যার নেপাথ্যে কাজ করে “পিসি জলিল বাহিনীর” আস্তাভাজন আনসার সদস্যরা। বিনিময়ে পান মোটা অংকের টাকা। সেই টাকা চলে যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত কর্মচারী,হাসপাতালটির আনসার বাহিনী পিসি,এপিসি,এবং জরুরী বিভাগে ডিউটি করা আনসার সদস্যর পকেটে। বন্টন হয় রেশিও ভিত্তিতে।

তবে এ কারণেই জরুরী বিভাগে সকল আনসার সদস্য ডিউটি পায় না। পিসি জলিল মৃধা এবং দালাল চক্রেরে সদস্য কথিত মার্কেটিং ম্যানেজার মিস বাঁধন (রাতের পাখি) ও বাবুল আহাম্মেদ এর পছন্দের আনসার সদস্যরা ডিউটি পায় জরুরী বিভাগে। তাদের নাম ১.আব্দুল মতিন ২. আনিছুর-১ ৩. আনিছুর -২ ৪.সাজ্জাদ ৫.মাহাবুব হোসেন ৬.নুর হোসেন ৭. চান মিয়া ৮.এনামুল ৯.হাসান -২ এবং পিসি জলিল মৃধার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতাল নামের কসাই খানার তালিকায় আছে “প্যান কেয়ার, ম্যাডি কেয়ার, ইষ্টেন কেয়ার, মনিরা,ঢাকা হেলথ্ কেয়ার, মা ও শিশু, মাদার কেয়ার হাসপাতাল নামক কিছু কসাই খানা।

আনসার বাহিনী সদস্যদের কারনে সেবা থেকে বঞ্চিত ঢাকা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত শিশু হাসপাতালে রুগি নিয়ে আসা সাধারণ অসহায় মানুষ। পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন দুর্ভোগ। হাসপাতালের প্রধানগেট থেকে মর্গের দরজা পর্যন্ত সুরক্ষা দায়িত্বে আনসার সদস্য এই সুযোগের বিনিময়ে বানিজ্য শুরু করে” পিসি জলিলি প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল চক্র বাহিনীর সদস্যরা।

বিগত সময়ে ঘটনা টাকা না দেওয়ায় CCU তে ঠুকতে দেয় হয় নি,অসুস্থ্য শিশুর মা দেখতে পাড়েনি সন্তানকে। এরকম কয়েটি ঘটনার প্রমান রয়েছে আমাদের হাতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাধারন আনসার সদস্যরা বলেন, আমারা খুব অসহায় অবস্থায় আছি পিসি জলিল স্যারের দিনদিন চাহিদা বেড়েই চলেছে যে কোন পোস্টে ডিউটি দিলেই তাকে সাপ্তাহিক হিসেবে ১/২ হাজার টাকা দিতে হয়। সব জায়গায় তো ইনকাম নাই। টাকা দিতে না পাড়লে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং খারাপ ব্যবহার তো করেই। তার কাছে জানতে চাইলে আরোও বলেন, আমাদের এ ঘটনা সবাই জানে, আমরা বাড়াবাড়ি করলে আমাদের চাকরি থাকবেনা। আমাদেরও খারাপ লাগে যখন দেখি গরিব রুগির অসহায় বাবা- মা এর সাথে টাকার জন্য দুব্যবহার করতে। আমাদেরও সন্তান আছে, বাবা- মা আছে। কি করবো ভাই গরিব মানুষ পেটের দায়ে এই আনসারে চাকরি করি। এই সব দুনীর্তি করে এ,পিসি,মাসুদ এর মধ্যেমে। ভাই কি আর কমু রুগী দেখতে লোকজন আসে তাদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল এর জন্য সরকারী পাকিং রয়েছে,সেখানে ডিউটি করতে হয়।

শিশু হাসপাতালে তাই এখন পোস্টিং টাকা ও তার মুনাফার টাকা তুলতে হবে সেজন্য স্যার এখন দালাল চক্রের সাথে জরিত হয়ে তাদের নেতা হিসেবে কাজ করেন। সরকারি শিশু হাসপাতালটিতে জরুরি বিভাগে থেকে শুরু করে মর্গ পর্যন্ত কোথাও কোন সেবা পাওয়া যায় না টাকা ছাড়া। ডাক্তার ও রুগির মধ্যে সেতুবন্ধন করে দেয়াই এখন সরকারি শিশু হাসপাতালটির আনসারের মূল দয়িত্ব।

নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রতি নিয়তই রুগীদের হয়রানি করাই মূল দয়িত্ব হিসেবে নিয়েছে ” জলিল বাহিনী ” হাসপাতালটির ডাক্তার ও রুগির মধ্যে একটি সমঝোতার মাধ্যম আনসার বাহিনী।

সরকারি শিশু হাসপাতালটির “রক্ষক যখন ভক্ষক” হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন গ্রাম থেকে ছুটে আসা অসুস্থ্য শিশুর অসহায় মা-বাবা ও তাদের স্বজনদের কি অবস্তা হয়ে দাঁড়ায় ?
তাই আনসার এখন সরকারি শিশু হাসপাতালটিতে আসা অসুস্থ্য শিশুর অসহায় মা-বাবা ও তাদের স্বজনদের বিষফোঁড়া। চলবে……….