আন্তঃসংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে রাজউকের ভবন পরিদর্শন

প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৩

রিপোর্টিং,বিশেষ প্রতিনিধি : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ভবনের দুর্ঘটনা হ্রাসে নগর উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তঃ সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বুধবার (১ নভেম্বর ) গুলশান এলাকায় বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হয়।

পরিদর্শন টিমে নেতৃত্ব দেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। পরিদর্শনকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেসকো, বিএসটিআই এর প্রতিনিধিগণ,ও রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২ এর পরিচালক, গুলশান এলাকার অথরাইজড অফিসার, জোন-৪ এর পরিচালক এবং জোন-৪ এর ইমারত পরিদর্শকগন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন টিম গুলশান এভিনিউ রোড সংলগ্ন সিডাব্লিউএস (এ) ব্লকের ১৮ নং প্লটে শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ভবনটি পরিদর্শন শেষ করে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং রাজউকের মেম্বার,পরিচালক ও অথরাইজড অফিসারগন ভবনটি সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।

গুলশান এলাকার অথরাইজড অফিসার ইমরুল হাসান রিপোর্টিং কে বলেন, ভবনটি রাজউক হতে অনুমোদিত স্থাপত্য নকশা মেনে নির্মাণ করেছেন এবং এখানে স্ট্রাকচারাল ও স্থাপত্য নকশা সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

এছাড়াও অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভবনের অভ্যন্তরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ফলস সিলিং নির্মাণে দাহ্য পদার্থের তৈরী উপকরণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ভবনটিতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রান্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান।

এ ছাড়াও তিনি আরো জানান, অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভবনের অভ্যন্তরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ফলস সিলিং নির্মাণে দাহ্য পদার্থের তৈরী উপকরণ কম ব্যবহার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন,ভবনটিতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম, স্প্রিংকলার, ফায়ার হাইড্রান্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি ভবন কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভবনে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও জরুরি যোগাযোগ নাম্বার সংবলিত নির্দেশিকা সকলের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে স্থাপন করার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে রাজউকের মেম্বার (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকল ভবন মালিক ও ডেভেলপারগণকে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও রাজউকের নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি ও সেই সাথে ইমারত নির্মাণে ব্যত্যয় রোধে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা কমাতে এই আলোচ্য ভবনটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছি।

ব্রিফিংয়ে তিনি মিডিয়া ও গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অগ্নি দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের এই ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গুরুত্বসহকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করেন।