প্রতারণা ও জালিয়তির টাকায় বিএনপি জামায়েতের আন্দোলন, আড়ালে জয়নাল আবেদীনের ইসোট এনজিও

প্রকাশিত: ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

রির্পোটিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ও জামায়েতের আন্দোলনের অর্থের যোগান আসে প্রতারণা ও জালিয়ত চক্র ইসোট এনজিও নামের এক বেসরকারী আর্থিক সংস্থা থেকে। যার পরিচালনায় রয়েছেন জয়নুল আবেদীন নামের এক এনজিও সংস্থার মালিক। যিনি প্রতারণা ও জাল জালিয়তি করেই গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। তার প্রতারণা ও জাল জালিয়তি ছাড়াও, কখনো কম বয়সী নারীদের চাকরীর কথা বলে আবার কখনো বিধবা সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে উদ্যোক্তা বানানোর কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভিডিও ধারন করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন নারী আত্মহত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, রাজধানীর মালিবাগের ডিআইটি রোডের আজাদ টাওয়ারের ৩য় তলায় ইকোনোমিক্যাল সোসাল অগানাইজেশন ইন টেরিটরি (ইসোট) নামের এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে কখনো অতিরিক্ত লভ্যাংশ,আবার কখনো ব্যবসার শেয়ার দেওয়ার কথা বলে বিনিয়োগ করায়।

যখন কেউ এই ফাঁদে পা দিয়ে বিনিয়োগ করে বসে। তখনই শুরু হয় নতুন ভোগান্তি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কম বয়সী অনেক সুন্দরী নারীকে এই প্রতিষ্ঠানে রেখেছেন। তাদের দিয়ে বিনিয়োগ কারীকে শুরু হয় হয়রানীর মাত্রা। কেউ টাকা ফেরত চাইলেই কম বয়সী ওই সুন্দরী নারীদের দিয়ে থানায় অভিযোগ থেকে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। যেসব নারীরা এখানে চাকরী করছেন, তারা জয়নুলের লুলুপের শিকার। সবাই ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ভয়ে কখনো কেউ তার বিরুদ্ধে সহজে মুখ খুলতে রাজী হয় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভূক্তভোগী নারী জানান, চাকুরীর লোভ দেখিয়ে প্রথমে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে ভিডিও ধারন করে রাখে। পরে সেই ভিডিও দিয়েই এখানে চাকরীতে জয়েন করতে বাধ্য করা হয়। চাকরীতে জয়েন করার পর প্রতিদিনই দিনে দু-তিন বার করে কেউ না কেউ তার বিছানায় যেতে হয়।

এছাড়াও, অনেক বিধবা সুন্দরী নারীদের সাথে ফেইসবুক,হোয়াসটঅ্যাপ,ইমুতে যোগাযোগ করে তাদের উদ্যোক্তা বানানোর কথা বলে প্রথমে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। তার এমন অত্যাচারের কারনে অনেকে কাুকে কিছু না বলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের মধ্যে, সুলতানা,রাজিয়া,সাথী এবং মহুয়ার খবর সবাই জানে। পাশাপাশি, দুই সন্তানের জননী সুইটি যখন আত্মহত্যা করে। তখন তার বেডরুম থেকেএকটা ডাইরি উদ্ধার করা হয়। সেখানে জয়নূলের সকল কুকর্ম এবং তাকে ব্ল্যাকমেইলের কথা উল্লেখ ছিলো। এতো কিছুর পরও পুলিশ তার কোন কিছু করতে পারলো না।

মোঃ জয়নুল আবেদীন ইসোট এনজিওটি তে প্রথমে দারোয়ান বা গেট কিপার হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে কৌশলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেই ইসোট দখল করে এর কর্ণধারে পরিনত হয় । অর্ধলোভী জয়নুল আবেদীন ইসোট এর কর্ণধার হলেও মানষিকতা নীচুই থেকে যায়। আর্থিক লেনদেন এর অনুমোদনহীন ইসোট এর নামে অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে খেটে খাওয়া অতি গরিব হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে নিজের মামা বাবুল কে ম্যানেজার বানিয়ে বাবুলের মাধ্যমে বছরের পর বছর আমানত সংগ্রহের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে মামা বাবুলকে ইসোট থেকে বের করে দেন ।

এখন আমানতকারীরা জয়নুল আবেদীনের কাছে তাদের আমানত ফেরত চাইলে মামা বাবুলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আমানতকারীদেরকে কোন টাকা দিবেন না বলে জানিয়ে দেন । গরীব অসহায় আমানতকারীরা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তাদের কষ্টের টাকা ফেরত পেতে । রির্পোটিং এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ইসোট এর টাকা রেখে সর্বশান্ত হওয়া অসংখ্য প্রতিনিধির সাথে কথা বলে তাদের আমানতের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে। গরীবের রক্তচোষা জয়নুল আবেদীন বিএনপির চলমান আন্দোলনে অর্থের যোগান দাতা হিসেবেও বেশ সুনাম রয়েছে পল্টন এলাকায়।

রাজধানীর যেসকল পয়েন্টেই বিএনপি,র কর্মসূচি থাকুক না কেন, সব খানেই সরকার পতন আন্দোলনকে বেগবান করতে অর্থের জোগান দিয়ে জয়নুল আবেদীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । বিএনপি,র বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে জয়নুল আবেদীনের অর্থ দানের ভূমিকা বিএনপির কেন্দ্রের নেতারাও অকপটে স্বীকার করেন।

হাজী মোঃ জয়নুল আবেদীন এর নামে বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা আছে যার কয়েকটিতে তিনি জামিনে আছেন আর কয়েকটিতে ওয়ারেন্ট ইস্যু থাকার পরেও সে দূর্নীতিগ্রস্থ পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ায়।

আমাদের রির্পোটিং এর পক্ষ থেকে মোঃ জয়নুল আবেদীন এর সাথে মুঠোফোনে এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে বলেন বাংলাদেশের সব জাতীয় পত্রিকা টিভি চ্যানেল আমার নিউজ করলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। আবার পরক্ষনেই বলে আমার বিরুদ্ধে আপনার কাছে কি প্রমান আছে আমাকে দেখান একজন লোকও আমার কাছে টাকা পাবে না। যখন রির্পোটিং এর পক্ষ থেকে বলা হয় আপনার কাছে নিযাতিত,লাঞ্ছিত ও পাওনাদার সহ অসংখ্য মানুষের সাক্ষাতকারের অডিও, ভিডিও কাগজপত্র সহ আছে তখন জয়নুল আবদীন নিউজ করলে দেখে নিবেন বলেও হুমকী প্রদান করেন।

গরীবের রক্তপানি করা পরিশ্রমের টাকা মেরে মোঃ জয়নুল আবেদীন এর নিজ নামে ও তার পত্নীর নামে গোড়ান, হাতিরঝিল, রামপুরা, বনশ্রী ও বাড্ডায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বেশকটি বিলাসবহুল গাড়ি। তার এসব অভিযোগের বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগী নারী ইতিমধ্যে ডিবি অফিস,সিআইডি অফিস এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

মোঃ জয়নুল আবেদীন এর অপকর্ম,অনিয়ম,দূর্নীতি,অত্যাচার সহ সকল বিষয়ে রির্পোটিং দ্বীর্ঘ দিন অনুসন্ধান চালিয়েছে ধারাবাহিক ভাবে ছবি তথ্য প্রমাণ সহ প্রচার করবে।