অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের মাল্টিমিডিয়া অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতি”

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩

রির্পোটিং,বিশেষ প্রতিনিধি : শিক্ষা সনদে নাম ময়েজ উদ্দিন আর ন্যাশনাল আইডিতে নাম অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন মুরাদ। দ্বৈত নামের ব্যাক্তিটি মিরপুর এক এ অবস্থিত হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। বাহারি নামের ময়েজ উদ্দিন লাগামহীন মাল্টিমিডিয়া দূর্নীতি-অনিয়ম-অপকর্ম করেও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টুর ছত্রছায়ায় এখনও বহাল তবিয়তে আছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক টুটুল কুমার নাগ,সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মুকিব মিয়া,এবং অডিট অফিসার মোঃ মতিয়ার রহমানের তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়ম-দূর্নীতি-অপকর্মের ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমতগীর স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড- ঢাকা এবং সভাপতি হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজকে দাখিল করেন গত ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে । প্রতিবেদনের আলোকে মাউশি বড্র শীটের জবাব চেয়ে ময়েজ উদ্দিনকে তিনটি চিঠি দিয়েছেন। আজ পযন্ত বড্রশীটের ও কোন চিঠির জবাব তিনি দেন নাই। মাউশিও কোন ব্যাবস্থা নেন নাই। বিগত দুই বছরের বেশী সময় অসংখ বার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতি তদন্তের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করেন নাই,নেন নাই কোন পদক্ষেপ। তবে সপ্তাহ-মাস – বছর পেরিয়ে হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজের গভনিং বডির সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে ছয়জন কিন্তু মাল্টিমিডিয়া অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতি করেও অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন রয়ে গেছেন আগের মতোই।

এই ময়েজ উদ্দিন নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও জি আর কলেজের অধ্যক্ষ থাকা কালিন অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতির দায়ে জি আর কলেজের তৎকালীন গভনিং বডি অফিস রুমের দরজা বন্ধ করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। জি আর কলেজের অনিয়ম,অপকর্ম- দূর্নীতির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক প্রফেসর ড. রামদুলাল রায় ৮/৯/২০১১ তারিখের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ আছে।

জি আর কলেজ থেকে চাকরি হারিয়ে ময়েজ উদ্দিন মুন্সিগঞ্জ পদ্মা কলেজে যোগদান করে। পদ্মা কলেজে আট মাস মতো চাকরি করার পরে হযরত শাহ্আলী মহিলা কলেজে ০৮/০৯/২০১২ তারিখে যোগদান করেন। এখানে যোগদান করেই ময়েজ উদ্দিন আলাদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যায়। প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হককে পি এস মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটনকে প্রথমে ম্যানেজ করেন নিঠনের মাধ্যমে ম্যানেজ করেন সংসদ সদস্য আসলামুল হককে তারপর ময়েজ উদ্দিন ও লিটন দুজনে মিলে শুরু করে অনিয়ম-অপকর্ম-দূর্নীতির নতুন অধ্যায় । শুণ্য হাতে হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজে যোগদানের পর এখন অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন অঢেল টাকার মালিক-ফেনীতে-মার্কেট-গ্রামের বাড়ীতে বিল্ডিং-ঢাকায় চলছে বাড়ী নির্মাণের কাজ।

“স্বাক্ষর টেম্পারিং করে জালিয়াতি”
(১)দূর্নীতি-অনিয়ম-অপকর্মে সিদ্ধহস্ত ময়েজ উদ্দিন “স্বাক্ষর কম্পিউটার টেম্পারিং জালিয়াতির অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করেছেন। বিশ্বব্যাংকের কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর চার কোটি টাকা বরাদ্দ পায় হযরত শাহ্আলী মহিলা কলেজ। এই প্রোজেক্টের এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ্য টাকা উত্তলোন করতে ময়েজ উদ্দিন ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশনের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল, মোঃ মিজানুর রহমানের সিল-স্বাক্ষর-পদবী জালিয়াতি করে। অথচ প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সি ই ডি পি প্রজেক্টের সাথে কোন ভাবেই যুক্ত ছিলেন না। এবং তিনি জানতেনও না নাম-স্বাক্ষর-সিল-পদবী জালিয়াতি করা হয়েছে। প্রতিবেদকের কাছ থেকে জেনে তিনি অবাক হন।

 

ঘটনা যখন জানাজানি হয় তখন কলেজের গভনিং বডির সভাপতির দ্বায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসাইন,তিনি অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের নানা দূর্নীতি অপকর্মের সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে গভনিং বডির মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনকে ছুটিতে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন কলেজ পরিচালনার স্বার্থে নিয়ম অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন মোঃ ফকরুল ইসলামকে । সিইডিপি প্রজেক্টে যুক্ত ও ড.এম এ মুকিম সদস্য আইজিডি ম্যানেজমেন্ট টিম ও সহকারী অধ্যাপক ইসলাম শিক্ষা হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ। মোঃ কছিম উদ্দিন,ডিপুটি আইডিজিএম,আইডিজি ম্যানেজমেন্ট টিম ও সহকারী অধ্যাপক,হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ এবং এম এম শফিকুল ইসলাম,সদস্য আইডিজি ম্যানেজমেন্ট টিম ও সহকারী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা,হযরত শাহ্ আলী মহিলা কলেজ। এই তিনজন লিখিত জানান তারা কেউ প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে দেখেননি।

এছারাও তিনজনই সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ অনেক শিক্ষক এবং এই প্রতিবেদকের সামনে স্বীকার করেন তারা কখনো প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে দেখেননি । পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ফকরুল ইসলামের কাছে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে লিখিত ভাবে জানান ও জালিয়াতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এবং লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন সিইডিপি প্রজেক্টের টাকা উত্তলোনে ব্যাবহৃত স্বাক্ষর তার নই-মর্মে পত্রে নিজের প্রতি স্বাক্ষর প্রদান করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য থাকায় মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সহকারী অধ্যাপক-কে মামলা পরিচালনা করার ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন দেন। সহকারী অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন মামলা করতে গেলে কোর্ট দুদকে আভিযোগ করতে বলেন । শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগের পেক্ষিতে বর্তমানে প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে ।

(২) হযরত শাহ্আলী মহিলা কলেজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদকে তার ক্রয়কৃত ৩২৩২ স্কয়ারফিট স্পেসের ৯টি দোকান অবৈধ্য উল্লেখ করে ১৭,২১,৫১৭ টাকা জুলাই/২০১৮ হতে বকেয়ো ভাড়া পরিশোধের ২৪//০৬/২০২০ তারিখে নোটিশ প্রদান করে। অথচ আলাউদ্দিন আল আজাদ ২৮/০৬/২০২০ তারিখে ২,০০,০০০/ (দুই লক্ষ) টাকা কলেজের ব্যাংক হিসাব নং ১২০৩০০৩২০১২০৮ ন্যাশনাল ব্যাংক,মিরপুর ১ শাখায় জমা দেন। সেই ভাড়ার রশিদ অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন এখনও দেন নাই।

 

আবার অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করে গত ২৫/০৭/২০২০ তারিখে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের স্বাক্ষর কম্পিউটার টেম্পারিং করে নোটিশ দেয়। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ এই প্রতিবেদককে বলেন সংসদ সদস্য আসলামুল হক স্বাক্ষরিত যে চিঠি আমাকে দেওয়া হয় সেটা দেখার পর প্রথমে আমার সন্দেহ হয় এরকম একটা বেআইনি চিঠিতে কিভাবে একজন সংসদ সদস্য স্বাক্ষর করেন ।

সংসদ সদস্য আসলামুল হকের স্বাক্ষরিত অন্য একটি চিঠির মুল কপি আমার কাছে থাকায় আমি দুটো চিঠিকে মিলিয়ে দেখে আমি বুঝতে পারি অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর টেম্পারিং করে বসিয়ে চিঠির তারিখ নিজের হাতে বসিয়েছেন । বিষয়টিকে আমি আরো নিশ্চিত হবার জন্য হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের সাবেক গভনিং বডির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাবলা সাহেব দেখাই তিনিও দুটো স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখে বলেন সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর টেম্পারিং করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন বাবলা ফোনে সংসদ সদস্যকে জানালে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাবলাকে বলেন মামা চিঠি দুটো নিয়ে বাসায় আসেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবলা সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মামা ।

জাহাঙ্গীর আলম বাবলা চিঠি নিয়ে সংসদ সদস্যর বাসায় গিয়ে চিঠি দুটো দেখালে সংসদ সদস্য আসলামুল হক চিঠি দেখে বলেন এই স্বাক্ষর তিনি করেন নাই তিনি জাহাঙ্গীর আলম বাবলকে বলেন মামা আগামী গভনিং বডির মিটিং যেদিন হবে সেদিন আমাকে জানাবেন আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সাথে মিটিংএও থাকি সেখান থেকেই চলে আসবো এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির দায়ে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো ।কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে গভনিং বডির মিটিং হবার আগেই সংসদ সদস্য আসলামুল হক মূত্যুবরণ করেন ।

স্বাক্ষর টেম্পারিং এর বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পেরিত তৎকালীন সভাপতি এ কে এম আমির হোসেনকে বারবার জানালো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিতেতো পারেননি বরং অভিযুক্ত অধ্যক্ষকেই দ্বায়িত্ব দেন স্বাক্ষর টেম্পারিং বিষয়টি প্রমাণের যা বড়ই হাস্যকর।

(৩) সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের স্বাক্ষক কম্পিউটার টেম্পারিং
অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন এবং অফিস সহকারী মো মোতালেব হোসেন কলেজ মার্কেটের ৩য় তলায় অবস্থিত বি-২১/এ নং দোকানটিডেভলপার মোঃ মজিবর রহমান মার্কেটের মূল নকশা অনুযায়ী চলাচলের রাস্তায় ভুলবশতঃ দোকান তৈরী করে । মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি মোঃ মজিবর রহমানকে দোকান ঘরটি ভেঙ্গে রাস্তা রাখার কথা বললে মজিবর রাজি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দোকান ঘরটি আর ভাঙ্গা হয় না। বি-২১/এ নং দোকানটির মালিকানা নির্ধারিত না থাকায় অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন অফিস সহকারী মোঃ মোতালেব হোসেনের সাহায্যে দোকানটি ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা অত্নসাৎ করে আসছিল।

২০১৯ সাল পযন্ত অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন দোকানের টাকা অত্নসাৎ করেছে। মার্কেটে দোকানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের স্বাক্ষর কম্পিউটার টেম্পারিং এর মাধ্যমে জাল দলিল তৈরী করে মোঃ মিজানুর রহমান নামে অফিস সহকারী মোঃ মোতালেব হোসেন মোঃ মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে দোকানটি পূনরায় বর্তমান মালিকের কাছে বিক্রি করেন ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের বি-২১/এ নং দোকানের ডেভলপার মজিবর রহমানের ছাড়পত্র এবং প্রত্যায়ন পত্রটি ২৫/০৫/২০২১ সালের তৈরী করা। সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের স্বাক্ষরকৃত দলিল এবং মোঃ মিজানুর রহমানের দলিল দুইটি সম্পর্ণ ভূয়া-জার দলিল । কলেজের নিয়ম অনুযায়ী ডেভলপার ছাড়পত্র কলেজে জমা দেবার পর বরাদ্দপত্র ও দলিলের জন্য রশিদের মাধ্যমে ৮,০০০/-টাকা ফি কলেজে জমা করতে হয়। বি-২১/এ দোকানের ক্ষেত্রে বরাদ্দ দলিলের ফি গ্রহন করা হয়নি।

প্রত্যেক দোকানের জন্য কলেজে দুইটি রেজিস্ট্রার খাতা সংরক্ষন করা হয় । একটি রেজিস্ট্রারে দোকানের বরাদ্দ দলিল পাওয়া থেকে মালিকানা পরিবর্তন হলে তা সংরক্ষন করা হয়। কোন প্রকার কাটা ছেড়া বা ঘষামাজা হয় না ।

কিন্তু এ দোকানের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে অন্য রেজিস্ট্রারে দোকান গুলির বাড়া আদায় এন্টি করা হয়। এ দোকানটির ক্ষেত্রে তা হয়নি। সর্বশেষে এন্টি দেখানো হয়েছে। যেহেতু দোকানটি আগে ছিল না । অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন ২৮,৫০,০০০/ টাকায় বিক্রি করে আত্নসাৎ করেছেন।

সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তার দলিলে স্বাক্ষর করেছেন কিনা সেটা যাচাইয়ের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদের সাথে এই প্রতিবেদক শিরিন আক্তারের বাসায় গিয়েছিল। দলিল দেখে সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তার বলেন স্বাক্ষর আমার তবে তা কম্পিউটারের সাহেয্যে স্বাক্ষক প্রতিস্থাপন করা হয়েছে করে ।

তিনি বলে আমি যেসব দলিলে স্বাক্ষর করেছি সেসব দলিলে হিসাব রক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও অফিস সহকারী মোতালেব হোসেনের স্বাক্ষর আছে এবং রেজুলেশন সহ রেজিস্ট্রার খাতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার খাতায় কোন প্রকার ঘষামাজা ও কাটাকাটি করা হয়নি । সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তার আরো বলেন আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সিআইডির এক্সপাটের সাহয্য নেওয়া হয়।

“বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদের মামলা”

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনকে এক নম্বর আসামী,(২) নং আসামী মোঃ মজিবর রহমান,স্বত্বাধিকারী টেকনোপল কন্সট্রাকশন কোঃ লিঃ । আসামী মোতালেব হোসেনকে (৩) নং করে মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত নং ২৯,ঢাকা এর সিআর মামলা নং ১২৭/২০২১,ধারা ৪০৬/৪১৮/৪১৯/৪২০/৪২৩/৪২৪/৪৬৫/৪৬৭/৪৭৩/৪৭৭/৪৮৩/৪৮৯/৩৪ পেনাল কোড। মামলা দায়ের করেন । আদালত মামলাটির প্রথমে তদন্ত ভার দেয় পিবিআইকে-পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ আদালতে নারাজী দেন ।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে আপত্তি প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন আল আজাদ এই প্রতিবেদককে বলেন-তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান সংসদ সদস্য আসলামুল হকের স্বাক্ষর কম্পিউটার টেম্পারিং করে জালিয়াতির বিষয়টি হস্ত বিশারদ দিয়ে যাচাইয়ের অনুরোধ করা সত্বেও এড়িয়ে গেছেন ।তিনি বলেন আমি বলেন আমি তদন্তের প্রয়োজন মনে করিনা ।গভনিং বডির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাবলা,তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসানকে নিশ্চিত করেছেন যে প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামূল হক নিজে বলে গেছেন স্বাক্ষর তিনি করেন নাই কিন্ত মেহেদি হাসান তদন্তে সেকথা কোথাও উল্লেখ করেন নাই।

অথচ আসলামুল হকের সাবেক পি এস মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটন বলেছে আমি এমপি স্যারকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়েছি সেটাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন ।কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা লিটনের ১৬৪ ধারা গ্রহণ করেননি আর লিটন ১৬৪ দিবেন না বলে জানান।পিবিআই অফিসের এক কর্মকর্তা লিটনের কোন লিখিত ছারা স্বাক্ষী গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানালে মেহেদি হাসান মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটনের কাছ থেকে লিখিত নেন ।

এই মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটন ১নংআসামী ময়েজ উদ্দিনের সকল অপকমের সাথে যুক্ত ছিলেন,এখনও আছেন। তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান এক নম্বর আসামী অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন ও মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটন যা বলেছে তাই তার প্রতিবেদনে নিয়ে এসেছে ।আবার উল্টা আমার চার নম্বর স্বাক্ষী মোঃ শরিফুল ইসলামকে ডেকে ধমক দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে মামলার বিষয়ে কোন প্রকার জিঞ্জাসা না করে স্বাক্ষীর ব্যাক্তিগত কি সম্পদ আছে জানতে চেয়েছেন এবং স্বাক্ষীর কাছ থেকে কাগজে মুচলেখা নিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ আরো বলেন আমি গত ১৩/১০/২০১৩ সালে ডেভলপার মোঃ মজিবর রহমানের কাছ থেকে ১০টি দোকান ক্রয় করে কলেজ থেকে নামজারী করি। পরবর্তীতে ১০টি দোকানের মধ্যে ৬টি দোকান বিক্রি করে দেই ক্রেতা মালিকগন কলেজ থেকে নামজারীও করে নেন।

ডেভলপার মজিবর রহমান আমার ৪টি দোকান জৈনিক আবুল সরকারের কাছে বিক্রি করে দেয়।আবুল সরকার অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন মিলে ও অফিস সহকারী মোতালেব হোসেন আমার দোকানের ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়ে আবুল সরকারকে দোকানগুরি বুঝিয়ে দিলে আমি শাহআলী থানায় জিডিিএন্ট্রি করি জিডি নং ১২৬ তারিখ ০৩/১০/২০২০। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জালাল উদ্দিন ১১/১০/২০২০ তারিখে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে মার্কেটের অফিসে আমার দোকান আমাকে বুঝিয়ে দেয়।অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন ও তার সহকারী মোতালেব হোসেন নানা ভাবে আমাকে নাজেহার করেছে। কিন্তু পিবি আইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান তার তদন্ত প্রতিবেদনে জিডির কথা উল্লেখ করেন নাই। মোট কথা যা উল্লেখ করলে ময়েজ উদ্দিন দোষী হবেন মেহেদি হাসান সেই পথে যায়নি।

সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসানকে তদন্তে স্বাথে সকল তথ্য লিখিত ভাবে ও সংযুক্ত কপি সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের মোবাইল নম্বার দেবার পরেও তিনি শিরিন আক্তারের কাছে যান নাই ফোন করেন নাই মোট কথা এড়িয়ে গেছেন । বরং আমাকে বলেছেন জায়গা তো কলেজের কলেজ মামলা করবে আপনি কেন করেছেন ।আমি মনে করি আমি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মামলা করার অধিকার আমার আছে।আর বিচারের দ্বায়িত্ব আদালতের ।আদালত যদি মনে করেন আমার মামলা কারার অধিকার নাই মামলা খারিজ হবে। তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বলছেন অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের কাছে মূল দলিল নাই তাহলে আমি কি করবো ।আমার বক্তব্য অবশ্যই অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের কাছে মুল দলিল আছে।দুই নন্বর দলিল বলেই ময়েজ উদ্দিন সেটা দেখায়নি।

ময়েজ উদ্দিন নিজে বাঁচার জন্য দলিল দিবেন আর সেই তদন্ত থেমে যাবে ?তদন্ত কমকতার বক্তব্য থেকে জানা যায় যে ১নং আসামী ময়েজ উদ্দিনের যা বক্তব্য সেই বক্তব্যকেই তদন্ত প্রতিবেদনে নিয়ে এসেছেন ।কিন্ত ময়েজ উদ্দিন হযরত শাহআলী মার্কেটের অনেক লোকের সামনে তদন্ত কর্মকর্তাকে নিজেই বলেছেন সাবেক অধ্যক্ষ শিরিন আক্তারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১টা নয় একাধিক দোকান বিক্রি করা হয়েছে একথা তদন্ত প্রতিবেদনে আনেন নাই। তদন্ত কর্মকর্তা গভনিং বডির রেগুলেশন আছে কিন্তু রেগুলেশন সত্যি না মিথ্যা তিনি সাচাই করেন নাই ।

পুরো তদন্তকে একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখবেন যে কোন উপায়ে ১ নং আসামী অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনকে বাচাঁনোর সকল চেষ্ঠা করা হয়েছে শুধু তাই নয় ময়েজ উদ্দিনকে সুবিধা দিতে তদন্ত দীর্ঘ করা হয়েছে । যার ফলে ময়েজ উদ্দিন নতুন করে কলেজ তালা ভেঙ্গে কলেজে বসতে পেরেছেন ।বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ ক্ষোভের সাথে বলেন নয় মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি ।স্বাধীন দেশে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে-আমার পক্ষে নয়-যা সত্য তাই আমি শুধু ন্যায় বিচার চাই ।

 

অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের নারী কেলেংকারি”
পবিত্র মাজার শরিফ হযরত শাহআলী বাবার নামে নাম হযরত শাহআলী মহিলা কলেজ,মহিলা কলেজ মানেই ছাত্রী।অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন কলেজের মানবিক শাখার ছাত্রী শাহারা জেরিন যার রোল নম্বর ছিল-১২৯ তার মায়ের সাথে অনৈতিক সম্পকে জড়িয়ে পরেন,ছাত্রী মায়ের সাথে অনৈতিক সম্পকের কারনে ছাত্রী শাহারা জেরিনকে কলেজে বিশেষ সুবিধা দেন ময়েজ উদ্দিন যা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদনেও উল্লেখ আছে।

কলেজের সব ছাত্রীকে বাদ দিয়ে একক ভাবে শাহারা জেরিনের কলেজে জন্মদিন পালন করা হয় যার কারনে কলেজের অন্যছাত্রী ও অভিভাবক সমালোচনা করেন। কলেজের ছাত্রী শাহারা জেরিনের মায়ের সাথে অনৈতিক সম্পকর সততা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন হলে শাহারা জেরিনের মা,শাহারা জেরিন, অন্যছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবকগনদের কাছে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন এই রকম লম্পট কিভাবে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ থাকেন- ?

তারে ঘাড় ধরে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ। শহারা জেরিনের মায়ের সাথে অবৈধ্য সম্পকের কারনে অধ্যক্ষে পরিবারে চরম অসান্তি চলমান। অধ্যক্ষের ছেলে বাবার পরক্রিয়ার বাধা দেওয়ায় অধ্যক্ষের সাথে মারামরি পযন্ত হয় যার কারনে অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের ছেলে নারায়নগঞ্জ থেকে পড়াশুনা করেন।অধ্যক্ষের আগের বাসা বাগান বিলাস এ থাকা কালীন বাসা খালি থাকলে অধ্যক্ষ শাহারা জেরিনের মাকে নিয়ে সময় কাটাতেন,বাগান বিলাস বাড়ীর মালিক,বাড়ীর তখনকার দারোয়ানের কাছে জানতে চাওয়া হলে অকপটে তারা স্বীকার করেন।

এছাড়া অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী, স্বামীর চরিত্রহীনতার প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হন । বাবার কারনে আত্নীয় স্বজনের কাছে মুখ দেখাতে পারেন না । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেগুলেশন(সংশোধিত)২০১৯ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ এর ২৪(ঢ)ও ২৬ এর (৩) এবং আইনের তফসিলের ২নং সংবিধি অনুযায়ী রেগুলেশন ১৭ । ক, এর ৭ উল্লেখ্য নৈতিক অবক্ষয় হলে চাকরি করতে পারবেন না ।

“প্রথম পর্ব”
চলবে-
২য় পর্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য-মাউশির কর্মকর্তার বক্তব্য-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার বক্তব্য-দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য-কলেজের গভনিং বডির সভাপতির বক্তব্য এবং ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্যর বক্তব্য ।