যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগে ঘুষের হিরিক!

প্রকাশিত: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

রির্পোটিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ে প্রায় ৩০০ জনবল নিয়োগে বড় অঙ্কের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নেওয়া সমন্বিত সম্পাদন ব্যবস্থাপনা (তৃতীয়পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের লোকবল নিয়োগের কাজ পাওয়া “রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজি”র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফারুকের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৫/৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফারুকের অপকর্মের শেষ নেই। বর্তমানে তিনি দেলোয়ার হোসেন ফারুক নামে পরিচিত হলেও ইতিপূর্বে জালটাকা তৈরীর দায়ে ফারুক মিয়াজী নামে ৭ বছর জেল খেটেছেন। গত ২০০৮ সালের ১লা অক্টোবর তিনি জাল টাকাসহ ফকিরাপুলের ডিআইটি এক্স রোডস্থ নূরানী হোটেলের নীচতলা থেকে গ্রেফতার হন। ২০১১ সালে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহবাগে ফুলের ব্যবসা করতেন। ফুল ব্যাবসায়ী থেকে হঠাৎ আইসিটি বিশেষজ্ঞ বনে যাওয়া ফারুক অবৈধ উপায়ে অর্থ উপর্জন করে এখন কোটি টাকার মালিক ও আইটে ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

দেলোয়ার হোসেন ফারুকের প্রতিষ্ঠানকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ে লোকবল দেওয়ার শর্তে টেন্ডার দেওয়া হলে নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৫/৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নেওয়া সমন্বিত সম্পাদন ব্যবস্থাপনা (তৃতীয়পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের ওই অনিয়ম এখন অধিদপ্তর জুড়ে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হোসেন রাসেল এমপি’র ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দানকারী জাফর ওরফে রেক্স নামের একব্যাক্তি এই ঘুষ গ্রহনের মধ্যস্থতা করেছেন বলে জানা গেছে। জাফর ওরফে রেক্স এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘুষ গ্রহনের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। যেই কোম্পানী জনবল নিয়োগ দিয়েছেন তারা অনিয়ম না করলে তো অন্য কারো অনিয়ম করার সুযোগ নেই। মন্ত্রীর নামে ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন ফারুকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা এমন অনেক অভিযোগ শুনতে পেয়েছি। তদন্ত করে শীগ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।