ভারতের কারাগারে মরছে বাংলাদেশী জেলে, ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি : গত ১৯ আগস্ট হঠাৎ প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে শত শত মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এতে অগণিত জেলে আহত ও নিহত হন। অনেকেই ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করেন। অনেককে আবার ভারতীয় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী উদ্ধার করে সেদেশের কারাগারে প্রেরণ করে। কারাগারে থাকা বাংলাদেশী জেলেদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ জন নিহত হয়েছেন। অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে ফিরিয়ে আনার কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ এখনো গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় ভারতে আটকে পড়া জেলেদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসরাঈল পন্ডিত ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।

নেতৃদ্বয় বলেন, একজন মৎস্যজীবী জেলে মারা গেলে তার পরিবারকে সরকারি ভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এতে একটি গুরুতর শুভংকরের ফাঁকি আছে। তা হলো মৃত জেলের লাশ পেতে হবে। অথচ সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিহত জেলেদের বেশির ভাগেরই লাশ পাওয়া যায় না। তাই তাদের পরিবারও ক্ষতিপূরণ পান না। আমরা এ নিয়ম বাতিলের দাবি জানাই।

তাঁরা বলেন, বিভিন্ন সময় সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় প্রবেশের কারণে সে দেশের কোস্টগার্ড ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটকা পড়ে কারাগারে রয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক বাংলাদেশী জেলে। উপার্জনক্ষম এসব ব্যক্তিকে হারিয়ে তাদের পরিবার খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের সাহায্যে কেউই এগিয়ে আসেনি, না ট্রলার মালিক না সরকার।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, মৎস্যজীবী জেলের বিভিন্ন বন্যা ও প্রতিকূলতার মধ্যে পড়লে তাদের উদ্ধারে বাস্তব প্রদক্ষেপ নেওয়ার কেউ নেই। সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে প্রতি বছর শত শত ফিসিং বোট ও ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মৎস্যজীবী জেলেরা মারা যায়। তাদেরকে উদ্ধারকারী জাহাজ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর কাছে না থাকায় জেলেরা আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ভুলবশত বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা অতিক্রম করে ভারতে গেলে, ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদেরকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। তাদের ছাড়িয়ে আনতে পরিবারের সদস্যদের মাসের পর মাস ভারতে যেতে হয়, এতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে কোন তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

তিনি অসহায় মৎস্যজীবী জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।