আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের দৃস্কৃতিকারী সিন্ডিকেট

প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

রির্পোটিং,বিশেষ প্রতিনিধি : কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যের বড় সিন্ডিকেট বিমল মিশ্র, শিশির ধর, বিশ্বজিৎ দে,মো. কামরুজ্জামান, জহুরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম গং আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।

নানান অভিযোগে সিন্ডিকেটের মূলহোতা বিশ্বজিৎ কে দোহার জয়পাড়া টিএসসিতে এবং জহুরুল ইসলামকে বগুড়ায় বদলি করে দেয়া হলেও অদৃশ্য শক্তিতে অধিদপ্তরে বহাল আছেন সংযুক্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও বিমল মিশ্র। এমপিও বাণিজ্য করে ভারতে বাড়ি কিনেছেন বিমল মিশ্র, শিশির ধর, বিশ্বজিৎ গং।

বেশ কয়েক বছর ধরে একচেটিয়া এমপিও এবং নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছিলেন বিমল – শিশির-জহুরুল ও বিশ্বজিৎ গং। বিভিন্ন জায়গায় বদলি হওয়ার কারনে এক বছর ধরে ভঙ্গুর সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত (রাজনৈতিক) কর্মকর্তা অমিত ।

“ ততকালীনএডি-৮ এমপিও জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই”

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা নীতিমালা দিয়ে পরিচালিত হতো না পরিচালিত হতো জহিরুল ইসলাম ( ততকালীনএডি-৮) এমপিও র খেয়াল খুশির নীতিমালায়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও ইউএনওদের কাগজের কোন মূল্য ছিলনা জহুরুল ইসলামের কাছে। যার সাথে জহুরুল ইসলামের বোঝাপড়ায় সম্পর্ক ভালো তার বিষয়ে সাত খুন মাপ আর যার সাথে বোঝাপড়া হয় না তার রক্ষা নাই।

রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার পীরগঞ্জন টকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষক মোঃ আব্দুর রউফ লিটন ১৫ বছর চাকুরী করে বেতন ভাতা ও টাইম স্কেল পাওয়ার পর হঠাৎ করে প্রশিক্ষন সনদ সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের নয় বলে বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন আবার একই প্রতিষ্ঠানের সনদধারী নওগাঁ জেলার বান্দাই খাডা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদের বেতন দেওয়া গেলনা বলে সুপারিশ করেন। অথচ রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার পীরগঞ্জন টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজের সনদ জাল প্রমানীত হবার পরেও এমপিও শীট থেকে নাম বাদ দেননি।

২৩ অক্টোবর ২০১৯ সালে মোট ২৭৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তির ঘোষনা পত্রে কারিগরি শিক্ষা বিভাগে জহুরুল ইসলাম নিজস্ব নীতিমালা যথাযথ প্রয়োগ করেছেন। এমপিও ভুক্তির চাহিদা শর্তের ১৭ নম্বারে বলা হয়েছে নিয়োগকালীন বিধি-বিধান অনুযায়ী নিন্মমানের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি/সমমান চাওয়া হলে এইচএসসি সমমান হিসাবে ৪ বছর মেয়াদী কৃষি ডিপ্লোমা পাশের সনদ দেবার পরেও জহুরুল ইসলামের কমন কথা কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (এইচএসসি সনদ) নেই বলে উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এইচএসসি সমমান হিসাবে কৃষি ডিপ্লোমা পাশের সনদ দিয়ে রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়,পাঁচবিবি,জয়পুরহাটে নিন্মমান সহকারী পদে এমপিও ভুক্ত করেছেন।

চাহিদা শর্তের ১৯ নম্বরে বলা হয়েছে কোন কোন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ডেমোনোষ্ট্রেটর পদের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ( বিএসসি/বিকম সনদ) নাই বলা হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১০ এ প্রণীত,মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞান/বাণিজ্য বিষয়ে ২য় শ্রেণীর ¯স্নাতক/সমমান এবং সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে কম্পিউটার বিষয়ে নূন্যতম ৬ মাসের প্রশিক্ষন থাকলেই হবে। অবাক করার বিষয় হলো কম্পিউটার ডেমোনোষ্ট্রেটরদের দীর্ঘ দিনের দাবী দশম কোডে বেতন যা জহুরুল সংশোধিত ২০২০ নীতিমালা প্রনয়নের সময় জহুরুল কমিটিতে উপস্থাপন করেননি কিন্তু নিজের নীতিমালায় কয়েকজন কম্পিউটার ডেমোনোষ্ট্রেটরকে দশম কোডে বেতন দেবার জন্য এমপিও শীটে নাম তুলে দিয়েছেন যা অক্টোবর ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হবে উল্লেখ করেছেন।

তাহলে সাধারন ভাবেই প্রশ্ন আসে যাদের নাম এমপিও শীটে জহুরুল দিয়েছে তাদের টাকা আসবে কোন বাজেট থেকে। অথচ এমপিও শীটের ৩১ চাহিদা শর্তে প্রত্যেকটিতে জহুরুল নিজে শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়েছে। জহুরুলের বহুমুখী আচরনই বলে দেয় প্রতিষ্ঠান চালানোর যোগ্যতা সে অনেক আগেই হারিয়েছে। মনোয়ারা জামান কৃষি কলেজের ( মাগুড়া-২ আসনের সাংসদ- সাইফুজ্জামান শিখরের মায়ের নামে কলেজ) অধ্যক্ষ মো: মশিউর রহমান মোঃ জহুরুল ইসলাম (ততকালীনএডি-৮)এমপিও (পদবীতে অধ্যক্ষের নীচের পদ) এর কাছে অপমানীত হয়ে প্রচন্ড ভাবে আত্নসন্মানে আঘাত লাগায় হার্ট এ্যাটাক করে ঢাকা লালমাটিয়া মিলেনিয়াম হার্ট এন্ড জেনারেল হসপিটাল লিঃ চিকিৎসা শেষে সদ্য রিলিজ পাওয়া ও ঝালকাঠী টেকনিক্যাল বিএম কলেজ, সদর, ঝালকাঠী প্রতিষ্ঠাতা মৃত অধ্যক্ষ আবু সাঈদের স্ত্রী দেলোয়ারা সাঈদ তার আইডল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকেই এখনও তাকিয়ে আছেন তারা অবশ্যই একদিন জহুরুল ইসলাম গং এর বিচার করবেন।

বিশ্বজিৎ দে অভিযুক্ত দূর্নীতিতে”

মোঃ ইউনুস আলী ০৫/০৯/২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রালয়ে দূনীতির তদন্তের অবেদনে উল্লেখ করেন ২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে এইচ এস সি (বিএম) পরীক্ষায় নিয়ম বহিঃভ’তভাবে সংযুক্ত কর্মকর্তা পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে বিশ্বজিৎ দে বরিশাল অঞ্জলের আতাহার উদ্দিন বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ বাকেরগজ্ঞ,বরিশাল ইলামীয়া কলেজ বরিশাল সদর, পিরোজপুর ইসলামী কলেজ পিরোজপুর সদর,পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি বিএম কলেজ,নেসারাবাদ পিরোজপুর উক্ত কলেজ গুলো এমপিও ভুক্ত কাজ করে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে এপ্রিল ও মে-২০১৬ সালে মিটিংয়ে এমপিও ভুক্ত করে দেন।

২৫/১০/২০১৬ সালে উপসচিব মোঃ এনামুল হক স্বাক্ষরিত (স্বারক নং ৩৭,০০,০০০০,০৭৪,০২৯,০০৩,২০১৫,৫১১) কারিগরি মহাপরিচালককে জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি। অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন বিষয়টি দূর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত হয়নি।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এসব কর্মকর্তাদের নামে একাধিকবার খোদ মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও একটি অভিযোগের তদন্ত হয়নি কিন্তু শিক্ষকদের বিন্দুমাত্র অভিযোগ পেলে তদন্তর পর তদন্ত চলতে থাকে এমপিও বন্ধ রাখা সহ নানা ভাবে হয়রানি চলমান থাকে-অদিদপ্তরের এই সব কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছে-হচ্ছে শত শত শিক্ষক কর্মচারী ।  চলবে………………….