শেখ হাসিনার সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে – ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন,হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার মেরুল বাড্ডা, ঢাকা বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, উইমেন্স কর্তৃক শুভ মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শুভ মধু পূর্ণিমার তাৎপর্য ও বুদ্ধের মানবতাবাদ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মহাস্থানগড়, সৌমপুর বিহার, ময়নামতি বিহার, বাংলা সাহিত্যের আদি কবিদের রচিত চর্যাপদ এ অঞ্চলে উন্নত বৌদ্ধ সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আমানত তহবিল ৪ কোটি টাকা হতে ৭ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ২০০৯ হতে ২০২০পর্যন্ত ১৪৯৪টি বৌদ্ধ প্যাগোডা ও শ্মশানে ৪০ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১০০টি শিক্ষা কেন্দ্রে ৬,০০০ বৌদ্ধ শিশুকে শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে ১২টি জেলার ৬২টি উপজেলায় ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০ হাজার বৌদ্ধ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক, ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধবিহার নির্মাণের লক্ষ্যে ৬০ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার একটি ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। নেপাল সরকার বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আশ্রম/প্যাভিলিয়ন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের অনুকূলে একটি প্লট বরাদ্দ প্রদান করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্য ঢাকায় বৌদ্ধ বিহার/শ্মশান/মঠ এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য পুর্বাচল নিউ সিটিতে ২১.৫৫ কাঠা ভূমি প্রদান করেছেন। জাতীয় উন্নয়নে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্তকরণ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ১২৬০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও মহিলাকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রবারনা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান-২০২২ উপলক্ষে ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে দুই কোটি টাকা প্রদান করেছেন।

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্ম মিত্র মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাস্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব
সম্পদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মি. সুপ্ত ভূষন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন উইমেন্স এর সভাপতি-অধ্যাপিকা ডা.দীপি বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক- অধ্যাপিকা সুদীপা বড়ূয়া প্রমুখ।