শিক্ষা সচিব পরোয়া করেন না মন্ত্রীকে

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৩

রিপোর্টিং, নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৩১ ডিসেম্বর সোলেমান খানকে নতুন শিক্ষা সচিব হিসেবে পদায়ন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি যোগদানের পর মাস দুয়েক ভালোভাবে মন্ত্রণালয় চললেও এরপরই দেখা যায় বিভেদ। মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রী’র বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে দন্দ চলছেই। এছাড়াও অন্যান্য এমপিরা পাত্তাই পাচ্ছে না সচিবের কাছে।

আগামী নির্বাচনে কোন মুখে ভোট চাইবেন এমপি মন্ত্রীরা! নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সংসদ সদস্য জানান তাদের দেয়া ডিও লেটার এবং মন্ত্রীদের সুপারিশ থাকা সত্বেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা তা ফাইলবন্দী করে ফেলে রাখছেন দিনের পর দিন।

কোন সুপারিশ বা তদ্ববির আমলেই নিচ্ছে না মন্ত্রনালয়ের কতিপয় সচিবগণ। ফলে জনগনের রোষানলে পড়তে হচ্ছে সংসদ সদস্যদের। কয়েক জন সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিবরা এমপি দের ডিও লেটারে মন্ত্রীর সুপারিশ থাকা সত্বেও সচিবরা ডিও লেটার ফাইল বন্দি করে ফেলে রাখছেন। এতে ডিও গ্রহীতা সাধারণ মানুষের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন এমপি-মন্ত্রীরা।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর সুপারিশ সত্বেও বিভিন্ন বদলী ফাইল সচিবের দপ্তরে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের সুপারিশকৃত বদলী দ্রুতই হয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবীণ সংসদ সদস্য বলেন আমি কয়েকটি ডিও ইস্যু করে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর সুপারিশ সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাই কিন্তু শিক্ষা সচিব সোলায়মান খান এর দপ্তরে ফাইল বন্দি করে ফেলে রেখছেন। শুধু আমারই না আরো সংসদ সদস্যদের ডিও ফেলে রেখছেন তিনি।

আর মাত্র তিন মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন, এসময়ে শিক্ষকরাই আমাদের ভোটে সহায়তা করে থাকেন, তাদের বদলী, পদন্নোতি, বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তিতে আমাদের ভুমিকা না রাখতে পারলে আমরা কোন মুখে তাদের নিকট ভোট চাইতে যাবো। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ এমপিও ভুক্তি হয়নি, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তি নির্বাচন পূর্বে না করে গেলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিএনপি জামাত গোষ্ঠী ক্ষমতায় গেলে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখনোই আর আলোর মুখ দেখতে পারবে না। ভোট আওয়ামী লীগের দরকার সচিব বা আমলাদের নয়। তাই এখনই সময় সোলেমান খান এর মত সচিবদের প্রেষণে প্রেরন জরুরি অন্যথায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সময়ে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।