প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বড় বাধা শিক্ষামন্ত্রীর প্রিয় ডিজি ওমর ফারুক !

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩

রির্পোটিং,নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীতে দরকার স্মার্ট কারিগর। স্মার্ট কারিগর তৈরীর জন্য সরকার জোড় দিচ্ছে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে। কিন্তু অযোগ্য মহাপরিচালকের কারনে বাস্তবায়িত হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো ওমর ফারুককে পর পর দুইবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বদলীর আদেশ দেয়া সত্বেও বদলিকৃতস্থানে যোগদান না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে বহাল রয়ে গেছেন। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২২খ্রি. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ড.মো ওমর ফারুক-কে বদলি করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব পদে দেয়া হলেও তিনি সেখানে যোগদান করেন নি।

এর আগে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য আদেশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলী করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে তিনি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে রয়েছে ন। প্রায় ১৫ বছর ধরে একই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন ড.মো ওমর ফারুক।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, বিভিন্ন অভিযোগে ড. ওমর ফারুককে দুইবার অন্যত্র বদলী করলেও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তার আদেশ বাতিল করে কারিগরি অধিদপ্তরে বহাল রাখা হয়েছে। অথচ ১৫ বছরে ড. ওমর ফারুকের ঝুড়িতে কারিগরির উন্নয়নের বিন্দুমাত্র অবদান নাই  বরং ড.ওমর ফারুক কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হবার পরে কারিগরি শিক্ষকদের সাথে যোজন যোজন দুরত্ব তৈরী হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৪ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ শহর থেকে এমন কোন জায়গা খুজে পাওয়া যাবে না যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি । বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল । দুরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বুঝতে পেরেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে রেমিট্যান্সের প্রয়োজন আর তাইতো সম্প্রতি সংসদে দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন ‘রেমিট্যান্সের বিকল্প নেই। বেশী বেশী রেমিট্যান্স আনতে হলে দক্ষ জনশক্তি কোন বিকল্প নাই আর দক্ষ জনশক্তি গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী পরিষদের শিক্ষামন্ত্রী কি প্রধানমন্ত্রীর চাওয়াকে বুঝতে পারছেন না ? নাকী না বোঝার ভান করে ১৫ বছরেও যে ওমর ফারুক কারিগরি শিক্ষার জন্য কিছু করতে পারেনি সেই অযোগ্য ড. ওমর ফারুকের বদলি বন্ধ করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

ডা: দিপুমনি শিক্ষামস্ত্রী

সরকারের চাহিদা থাকা সত্বেও অযোগ্য জনবল দিয়ে কোনভাবে চালানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা। আর সেই কারনে কারিগরি শিক্ষার কারিগররা পাচ্ছেনা যথাযথ মূল্যায়ন-প্রতিনিয়ত হতে হচ্ছে অপমান অবহেলার শিকার তৈরী হচ্ছে না দক্ষ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল ।

কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগ হতে সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করার পর কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপের সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সচিব বলেন “ আমি কেমিস্ট্রি বিভাগে পড়াশোনা করেছি, কারিগরি বিষয়ে আমার তেমন কোন জ্ঞান নেই”(ভিডিও সংরক্ষিত)।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো ওমর ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক এবং স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এমন সব কর্মকর্তা দিয়ে যুগের পর যুগ চালানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা ব্যাবস্থা। যাদের নূন্যতম কারিগরি জ্ঞান নেই।

মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করার বেশ কয়েকমাস পরেও অধিদপ্তরের অনিয়ম দূর্নীতির মাত্রা কমিয়ে আনার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে সাধারণ শিক্ষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেখা গেছে।

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, শিক্ষামন্ত্রীর উদাসিনতা দূর করে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে সৎ,যোগ্য ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মহাপরিচালক নিয়োগ দিলেই কারিগরি শিক্ষাব্যাবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব।