রির্পোটিং প্রতিবেদন : টানা বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে গত ১৬ জুন সমগ্র সিলেট বিভাগ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্যাগ্রস্থ হয়ে পড়ে সুনামগঞ্জ জেলা। প্রায় শতভাগ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। টানা ৪দিন বিদ্যুৎ গ্যাস মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে জনবিচ্ছিন্ন এক ভূতুরে জনপদে পরিণত হয় সারা সিলেট সুনামগঞ্জ জেলা।
সিলেট বিভাগের বন্যাকবলিত চার জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৫০ লাখ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এ চার জেলার জন্য এখন পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ৩ হাজার ২০ টন চাল ও ৫৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। ত্রাণের এই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বন্যাকবলিত ৫০ লাখ মানুষের বিপরীতে জনপ্রতি বরাদ্দ দাঁড়ায় ৬ টাকা ৬২ পয়সা ও ৬০৪ গ্রাম চাল। অঞ্চলভিত্তিক বানভাসি মানুষের তালিকা হয়নি এখনও। যে যাঁর মতো ত্রাণ বিলিয়ে যাচ্ছেন। কেউ ত্রাণ পাচ্ছেন একাধিকবার, আবার কারও হাতে একবারের জন্যও ওঠেনি খাদ্য সহায়তার প্যাকেট।তবে সরকারি এ বরাদ্দের বাইরেও অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন সিলেট অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। 
মানবিক মানুষ সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন ও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন । তিনি ইতি মধ্যে ১০০০ পরিবারের মধ্য শুকনো খাবার বিশুদ্ধ পানি মেডিসিন খাবার স্যালাইন ইত্যাদি বিতরন করেছেন । প্রচার বিমুখ তরফদার মোহাম্মাদ রুহুল আমিনকে দেশের যে কোন বিপর্যায়ে এগিয়ে আসেন বাড়িয়ে দেন মানবতার হাত । করোনা কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে মোটা অংকের সাহায্য দিয়েছেন ,কদিন আগে সীতাকুন্ড অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন মানুষ মানুষের জন্য । মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারাটাকে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। তিনি আরো বলেন বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষ সহ সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার ও আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর অব্যাহত থাকবে ।
