শোকাবহ আগষ্ট

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২২

রির্পোটিং : আমি জানি কতটা ভগ্ন হৃদয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু উত্তাল মার্চের লাকি সেভেন ক্ষ্যত ৭ তারিখ সকলের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সম্পাদক বিশেষ একটা লেখা দিতে বল্লেন এক ছোট ভাই বল্লেন বিশেষ দিনে একটা লেখা চাই। কষ্ট টা ওখানেই ১৫ ই আগষ্ট একটা বিশেষ দিন। আমার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামাল আকাশ কে নিয়ে চা পান করছিলাম এমন সময় একজন এই প্রজন্মের একজন মোবাইল ফোনে হয়ত তার বন্ধুকে বলছে কাল “হেব্বি মজা হবে ব্যাপক খাই দাই ” ছুটি আছে সারদিন ঘুরবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই আশিক জামান জন কে নিয়ে আসছি মিরপুর-১১ এর কাছে। গাড়ির ব্যানারে লেখা শোকাবহ আগষ্ট আর গান বাজছে ” মে নাগিন….
আসলেই এই নাগিনদের বিষদাত ভাঙতে হবে।আরও ঘটনা আছে একটা লেখাতে লেখা কঠিন।
আমার লেখা একটা কবিতার কিছু লাইন দিয়ে শুরু করি

“বঙ্গবন্ধু মুজিবকে নিয়ে লিখিনি আলাদা কাব্য,
মোর সব লেখাতেই নেতা ও পিতার প্রভাব অভব্য।
আলাদা করে মুজিবকে নিয়ে লিখবো ভাবি বেশ,
পরে ভেবে দেখি মুজিব মানেই গোটা বাংলাদেশ।
আলাদা করে কান্না খুজি না আগষ্ট আছে বলে,
এগারো মাসও অন্ত দহনে অশ্রু নহর জ্বলে।
ইতিহাস ভুলে দোষ খুজে চলি চুল চেরা করি বিচার,
নিথর দেহটি সহ্য করেছে ১৮ টি গুলি সিষার।
আমি আবাক হই আর দেখি সেই নেতার দলে,
আদর্শ ছেড়ে অর্থ গড়ছে ছলে বলে কৌশলে।
মানব সেবা লোক দেখানো তোতার শেখানো বুলি,
তাদের জন্য মোর নেতা নিলো ১৮ টি তাজা গুলি।
যদি শুকিয়ে যায় পদ্না মেঘনা গৌরী থাকেনা আর,
থাকবে তুমি বাঙালী হৃদয়ে পিতা শেখ মুজিবর।
ছাত্র জীবনে  ৭ দিন সহ ৪৬৮২ দিন কারাবাস,
স্বপ্ন ছিল এই বাঙালীদের হবে স্বাধীন বসবাস।
দিয়েছিলে নেতা স্বাধীন দেশ উড়তে মেলে ডানা,
প্রতিদান সরূপ মোরা দিয়েছি বুলেট ১৮ খানা।
কষ্ট হলো ১৫ আগষ্ট এখন একটা অনুষ্ঠান। জাতি হিসাবে আমরা কত ক্ষানি কপট।

“ইতিহাসের গ্লানি ললাটে লিখেছে জাতি তোমার তো কিছু নয় তোমাকে হারিয়ে কাঁদে সুখ তারা আমাদের বেদনায় ১৫ ই অগাস্ট এ কৃষ্ণ গহ্বরে বঙ্গবন্ধু হারিয়ে তোমায় কাঁদিছে জাতি নিদারুণ অসহায়” এস এম আবু বক্কর স্যারের লেখা এই গানটি বারবার মনে পড়ে আগষ্ট এলেই।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ এ লন্ডনের হারলি স্ট্রিটের লন্ডন ক্লিনিকে পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের সময় অসুস্থ বঙ্গবন্ধুকে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট দেখতে এলে বঙ্গবন্ধু বুক পকেট থেকে কলম বের করে বলেছিলেন, ‘এই সামান্য আমার উপহার; এটা দিয়ে আপনি লিখুন আমার দরিদ্র মানুষের কথা’। – এই মহা মানুষ আমরা হারালাম। ১৫ ই আগষ্টের সকল শহীদদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমরা আর ফিরে পাবো না বঙ্গবন্ধুকে।
১৫ আগষ্ট নিয়ে মেজর আলাউদ্দিন ইংরেজিতে মর্মস্পর্শী ভাষায় লেখা তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনটি সংগ্রহ ও অনুবাদ করেছিল প্রথম আলো।তার একটি অংশ তুলে ধরছি।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট রাত তিনটায় ঢাকা সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডারের আদেশে আমি প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে যাই। স্টেশন কমান্ডার আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। মেজর বজলুল হুদা ও তাঁর লোকজন পাহারা দিচ্ছিলেন বাড়িটি। হুদা আমাকে প্রথমে বাধা দিলেও পরে ঢোকার অনুমতি দেন।
১. সড়ক নম্বর ৩২, শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি: সব কটি লাশ সিঁড়ির গোড়ায় আনা হলো। রাখা হলো কাঠের কফিনে। বরফ আনা হয়েছিল। রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল প্রথম তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে। বাড়ির সব বাসিন্দাকেই খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে যায়। খোসাগুলো মেঝেতে পড়ে ছিল। কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র, গিফটবক্স ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিয়েগুলোর উপহারের প্যাকেট। পবিত্র কোরআন শরিফও মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখলাম।

ক. শেখ মুজিবের বাড়িতে নয়জনকে হত্যা করা হয়েছিল। লাশগুলো (প্রদত্ত রিপোর্ট মতে) যে অবস্থায় পাওয়া যায়:

১. শেখ মুজিব: প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানটায় যে সমতল অংশটি, তার তিন-চার ধাপ ওপরে। চশমার ভাঙা কাচ ও একটি পাইপ সিঁড়িতে পড়ে ছিল।
২. শেখ কামাল: অভ্যর্থনাকক্ষে।
৩. টেলিফোন অপারেটর: অভ্যর্থনাকক্ষে।
৪. শেখ নাসের: নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে।
৫. বেগম মুজিব: মূল বেডরুমের সামনে।
৬. সুলতানা কামাল: মূল বেডরুমে।
৭. শেখ জামাল: মূল বেডরুমে।
৮. রোজী জামাল: মূল বেডরুমে।
৯. শিশু রাসেল: মূল বেডরুমে, তার দুই ভাবির মাঝখানে।

বনানীতে যাদের দাফন হয়েছে।
১. বেগম মুজিব ২. শেখ নাসের ৩. শেখ কামাল ৪. সুলতানা কামাল ৫. শেখ জামাল ৬. রোজী জামাল ৭. শিশু রাসেল ৮. অজ্ঞাতপরিচয় ১০ বছর বয়সী একটি বালক ৯. নাঈম খান ১০. অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছর বয়সী একটি বালক ১১. গৃহপরিচারিকা, বয়স ৪৫ ১২. অজ্ঞাতপরিচয় ১০ বছর বয়সী একটি ফুটফুটে বালিকা ১৩. শেখ মনি ১৪. মিসেস মনি, ১৫. অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক, ১৬. অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছর বয়সী একটি বালক ১৭. আবদুর রব সেরনিয়াবাত ১৮. অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক।

দেখেন ৮ জন অজ্ঞাত নামা। এই আত্নগুলোও হয়তো ফারুক রশিদ দের ক্রমাগত অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছে।

আরও নির্মম বিষয় সর্বকনিষ্ঠ শহীদ, আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ৪ বছর বয়সী শিশু সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু।
২৭ মিন্টু রোড, আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের নিহতরা হলেন- ২. আবদুর রব সেরনিয়াত ৩. চৌদ্দ বছর বয়সী কন্যা বেবী ৪. বারো বছরের পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত ৫. ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ৬. ভাগ্নে আব্দুর নাঈম খান রিন্টু ৭. পোটকা ৮. লক্ষ্মীর মা। এর সাথে আবদুর রহিম খান নামে একজনকে পাওয়া যায় যার বিস্তারিত জানা যায়নি।

কর্নেল জামিলঃ তিনি ১৫ আগষ্টের বীর। তিনি প্রমান করেছিলেন সবাই বিপদগামী সেনা না।
বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব এই কর্নেল জামিলকে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করায় তাঁকে বীর উত্তম ও মরণোত্তর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উপাধি দেওয়া হয় ।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘জামিল, তুই আমার চোখের মণি, আমার সঙ্গে থাকিস।’ এর ক’দিন পরই বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিবের পদ থেকে বদলি হয়ে যান জামিল উদ্দিন। তবু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই থেকেছেন। জীবন দিয়ে। কর্তব্যবোধ ও আত্মত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত গড়ে।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দীনকে শেষবারের মতো ফোন দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কর্নেল জামিলকে বলেছিলেন, তাকে আক্রমণ করা হয়েছে; ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। পরে লাইন কেটে যায়। যে কালরাতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, নগরীকে ঘিরে ধরেছিল অনিশ্চয়তা এবং দেশের নেতৃত্ব অচল হয়ে পড়েছিল, কর্নেল জামিল তার দায়িত্ব থেকে সরে আসেননি। তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ফোন করেন এবং তাদের সেনা পাঠাতে বলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টকে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার নির্দেশ দেন এবং তৎক্ষণাৎ ৩২ নম্বর রোডের বাড়ির দিকে ছুটে যান।

শান্তভাবে নিজের পিস্তল খাপে রেখে স্ত্রী-সন্তানদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিপদ। কীভাবে আমি না গিয়ে পারি! জিপে চড়ার আগে স্ত্রীর প্রতি তার শেষ কথা ছিল- আমার কন্যাদের প্রতি খেয়াল রেখো। অন্ধকার ভেদ করে গাড়ি চলে যায় ৩২ নম্বর রোডের বাড়ির দিকে।

সোবহানবাগ মসজিদের কাছে পৌঁছলে পিজিআর কনভয় কর্নেল জামিলকে থামায়। তিনি কারণ জানতে চান। তাকে বলা হয়, সামনে সেনা ইউনিট রয়েছে এবং গোলাগুলি চলছে। তিনি সেনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি জিপে চেপে বসেন এবং নিজে গাড়ি চালিয়ে ৩২ নম্বর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
গুলি করা হয় বীর সোনালি কর্নেল জামিলকে। গাড়ির ভেতর লুটিয়ে পড়েন তিনি। শাহাদতবরণ করেন কর্নেল জামিল, যিনি অন্যদের মতো বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার শপথ নিয়েছিলেন।
নীতি ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল আনুগত্য কর্নেল জামিলকে দান করেছে শহীদের মর্যাদা। যে রাতে অনেক সাহসী মানুষ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগেছেন, কর্নেল জামিল একচুলও টলেননি তার কর্তব্যবোধ থেকে। সাহসিকতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন কর্নেল জামিল। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন কর্তব্যবোধকে।
১৫ আগষ্টের ভয়াল রাতে আমরা তাকেও স্বরণ করি।

আগস্ট ট্রাজেডিতে সবচেয়ে কম উচ্চারিত নাম মোহাম্মদপুরের হতভাগ্য ১৪ জন শহীদ। লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি আর্টিলারি গ্রুপ কামান নিয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনের দক্ষিণে অবস্থান নেন। সেখান থেকে নিক্ষেপিত মর্টার শেল আঘাত হানে মোহাম্মদপুরে। কামান থেকে ছোড়া এমন আন অবজার্ভড গোলা ৩০ মাইল দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। শের শাহ সুরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়ি এবং শাহজাহান রোডের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়িতে (টিনশেড বস্তি) মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং নিহত হন ১৪ জন, আহত ৪০। ওই ঘটনায় আহত ৮ নম্বর বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর মোহাম্মদ মামলায় করেন সেখানে উল্লেখিত নিহতরা হলেন: ১. রেজিয়া বেগম ২. নাসিমা ৩. হাবিবুর রহমান ৪. আনোয়ারা বেগম, ৫. আনোয়ারা বেগম (২) ৬. ময়ফুল বিবি ৭. সাবেরা বেগম ৮. আবদুল্লাহ ৯. রফিকুল ১০. সাফিয়া খাতুন ১১. শাহাবুদ্দিন ১২. কাশেদা ১৩. আমিনউদ্দিন ১৪. হনুফা বিবি; সবাই মর্টার আগুনে নিহত হন।

১৫ আগস্টের ঘাতকদের তালিকা এখন সময়ের দাবি? সেনাকোরের মধ্যে আর্মার্ড বা ল্যান্সার বাংলায় সাঁজোয়া বাহিনী এবং আর্টিলারি বা গোলন্দাজ বাহিনী; এই ২টি ইউনিট হামলায় অংশ নেয়। ধারণা করা হয় মোট ১৮টি কামান এবং দুইটি ট্যাংকসহ কয়েকশত সেনা সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল।
২টা ইউনিট সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছে আর্টিলারি এবং আর্মাড কোর, কয় হাজারই বা সৈন্য? ১৪ আগস্ট রাত ১০ টায় বেঙ্গল ল্যান্সারের টি-৫৪ ট্যাংকগুলোর মধ্যে ২৮টি ট্যাংক ও শকটযান সহ ১৮টি কামান জড়ো হলো পুরাতন বিমানবন্দরের বিস্তীর্ণ বিরান মাঠে। রাত সাড়ে ১১টায় জড়ো হলো মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর শাহরিয়ার, মেজর পাশা, মেজর রাশেদসহ ঘাতকরা। ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহর রাত সাড়ে ১২টায় পরিকল্পনা ব্রিফিং করে মেজর ফারুক। এই প্রথম সবাই জানতে পারল সে রাতেই হত্যা করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আমাদের প্রজন্ম জানতে চাইতেই পারে বাকি সেনারা কারা। তাদের একটি তালিকা আমাদের দরকার। দুটি ইউনিট অংশ নিলো আর দায়িত্বশীলরা জানতেই পারলো না। এটা মানতে কষ্ট হয়। আমি জানিনা কতটুকু ব্যাথা বুকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাস্ট্র চালান কিম্বা কেমন করে সহ্য করেন তারই ছোট বোন শেখ রেহেনা।
আমরা প্রায়শ শুনি বা এখন অনেক বিশ্লেষণে পাই দেশীয় কুলাঙ্গারদের সাথে বিদেশিরাও জড়িত। এই বিদেশিদের ভুমিকা গুলো পরিস্কার হওয়া দরকার। অনেক ইতিহাসবিদ বলেন বিশ্বের নিপিড়ীত অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষ নেওয়ার কারনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তার বিরুদ্ধে চলে যায়। তিনি তার দরাজ কণ্ঠে বলেন ” বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত এক ভাগ শাষক আর অন্য ভাগ শাসিত, আমি শাসিতের পক্ষে “।
আমরা ঐ বিদেশিদের হয়তো এখন তেমন কিছুই করতে করতে পারবো না তবে ঘৃনা তো করতে পারবো।
আর আমরা তৎকালিন দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারি।

বিবেকের দায় দিয়ে যায় আজ প্রশ্ন তারে নিয়া,
বিবেকের দায় কেমন এড়াবেন শফি কিম্বা জিয়া।
ইতিহাস পড়ে বুক ফেটে যায় নিরবে অশ্রু ঝরে,
প্রবোধ দিয় আজিকে জন্ম আমার ৭৫ এর পরে।

লেখক : বেদুইন হায়দার লিও
তৃনমূল কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
ও বঙ্গবন্ধু গবেষক।