বহু প্রতিভার অধিকারী“নিথর মাহবুব”এবার নিজের কথা ও সুর এবং কন্ঠে গান নিয়ে আসছে

প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২২

রির্পোটিং বিনোদন প্রতিবেদক বাংলাদেশের শিল্প সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একজন মূকাভিনয় শিল্পী হিসেবেই অধিক পরিচিত নিথর মাহবুব, পাশাপাশি যুক্ত আছেন বিনোদন সাংবাদিকতার সঙ্গে। তবে এবার তিনি নতুন রূপে আত্ম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। নিজের কণ্ঠে গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন নন্দিত এই মূকাভিনয় শিল্পী। শুধু গেয়েছেনই না নিজেই সেই গানের কথা লিখেছেন এবং সুর করেছেন। জীবন গনিষ্ঠ এই গানের শিরোনাম দিয়েছেন ‘আগন্তুক’। গানটির মিউজিক করেছেন টফি রেনার, ডিরেকশন দিয়েছেন শাইলু শাহ্।। গত শনিবার নিজের ফেসবুকে গানটি গেয়ে ২০সেকেন্ডর একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছেন নিথর মাহবুব। আর তাতেই মিলছে ব্যাপক প্রশংসা। প্রতি বছর ১৮আগস্ট নিজের জন্মদিনে মাইম শো’র আয়োজন করেন এই শিল্পী। করোনার কারণে সেই নিয়মে ব্যাঘাত ঘটেছে গত দুই বছর, এবছর করোনার প্রভাব না থাকলেও মাইম শো করছেন না তিনি। ‘আগন্তুক’ শিরোনামের এই গানটিই হবে তার এবারের জন্মদিনের নিবেদন।গানটি কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ হচ্ছে সে বিষয়ে এখনই জানাতে চাননি তিনি। তবে তার ফেসবুক ওয়াল ও ইউটিউব চ্যানেলে ১৮তারিখ থেকে গানটি পাওয়া যাবে। জীবন সাজাতে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে একসময় মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবসহ প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে দূর দূরান্ত থেকে শহরে ছুটে আসে তরুণরা। একদিকে যেমন থাকে ফেলে আসা প্রিয় মুখ গুলোর মায়াবী পিছু টান আরেক দিকে থাকে অচেনা অজানা ইট-পাথরে শহরে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থেকে সফল হওয়ার প্রত্যয়। এই দুইয়ের মিশেলে কেমন থাকে শহরে আসা স্বপ্নবাজ তরুণদের প্রথম দিকের দিন গুলো, তারই দৃশ্যকাব্য ‘আগন্তুক’। গানের কথা- আলিশান বাড়ি, দামি দামি গাড়ি/ পিচ ডালা পথ, ব্যস্ত মানুষ/ কেউ কারো নয়, আজব শহর/ এই শহরে আমি আগন্তুক। ঢিলেঢালা প্যান্ট, খালি মানিব্যাগ/ ময়লা জামা ছেড়া চপ্পল/ এলোমেলো চুল, দিশে হারা মন/ এই শহরে আমি আগন্তুক। চারিদিকে ফাঁদ, নানা অপরাধ/ প্রাণে জাগে ভয়, কি জানি কি হয়/ দুরু দুরু বুক, খুঁজছি সুযোগ/ এই শহরে আমি আগন্তুক। ফেলে আসা মুখ মনে পড়ে খুব/ মায়ার বাধন দেয় পিছু টান/ তবুও শপথ সামনে চলা/ জানি না ঠিকানা, তবু এই পথ চলা/ পেটের ক্ষুধায় মাথা ভন ভন/ স্বপ্নে বিভোর তবু দুটি চোখ/ এই শহরে আমি আগন্তুক। নিথর মাহবুব বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে অনেকে আমার কাছে আমার লেখা গান চেয়েছে, কিন্তু আগ্রহী হইনি। শুধু অভিনয়টা নিয়েই মগ্ন থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমি গানেরও মানুষ, প্রচুর গান শুনি, একাডেমিক ভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীতে চার বছরের কোর্স করেছি সেই ছাত্রজীবনেই। আমার গানের ওস্তাদ প্রমথ বাবু ও কেশব ঘোষ। ওস্তাদরা বলতেন আমার গলাটা নাকি গানের গলা, তারা অনেক চেষ্টা করতেন আমাকে গান গাওয়াতে মনযোগী করতে, কিন্তু মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে বেশি ভাল লাগত বলে গানে গাওয়াতে সিরিয়াস ছিলাম না। আমার ১৭বছরের সাংবাদিকতা, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও শিল্প সত্তার সংমিশ্রণে তৈরি ‘আগন্তুক’। বলা চলে এটা আমার জীবনের নির্জাস। প্রায় ৭ বছর ধরে গানটি নিয়ে পরিকল্পনা করছি। অবশেষে এটি প্রকাশ করতে যাচ্ছি। দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলে এটা হবে সূচনা, আর ভাল না লাগলে এটাই হবে আমার প্রথম এবং শেষ গান।’