উদ্দীপন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
এসময় আলোচকবৃন্দরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার জনগণই ছিল তাঁর অন্তঃপ্রাণ। এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন এটিই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও আদর্শের মূলমন্ত্র ছিল ‘বিশ্বশান্তি’। তিনি জীবনব্যাপী নিপীড়িত, শোষিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অপরিহার্য। এই শান্তিবাদী দর্শনের জন্য তিনি বিশ্বে অনুপ্রেরণার এক উৎস হয়ে আছেন। বাংলা ও বাঙালির সাথে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বক্তব্যে আরো উঠে এসেছে, বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন আজীবন। অধিকার আদায়ে জেল খেটেছেন বহুবার। পিছপা হননি। লক্ষ্য ছিল একটাই বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। তাই বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের মাঝে থাকতেন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, যে দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় আমরা পেতাম ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও নিরক্ষরমুক্ত একটি জাতি। জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে তাঁরই সুযোগ্য ও দূরদর্শী কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজে এগিয়ে চলেছেন। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর চীন সফর নিয়েও আলোচনায় উঠে এসেছে। যা ছিল বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আর একটি ধাপ। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সঞ্চালনায় ছিলেন মো. সগির হোসেন (পরিচালক, ফিল্ড অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট)।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উদ্দীপনের শাখা, আঞ্চলিক ও জোন পর্যায়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পিরোজপুর, বরগুনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিনামূল্যে ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।