মহিদুল হাসান মন এর জনপ্রিয় গানের তালিকা বেশ লম্বা

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২২

রির্পোটিং শেখ জিয়াউর রহমান সুমন :  ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ভালোবাসা থেকেই সংগীত জগতে আসা এই সফল মানুষটির। পারিবারিকভাবে তেমন সাপোর্ট না থাকলেও নিজের চেষ্টা এবং মেধা দিয়ে এতদূর এগিয়ে এসেছেন এই মানুষটি। ক্লাস সেভেনে পড়া চলাকালীন সময়ে প্রথম তার হারমোনিয়ামে হাতে খড়ি হয় তারই আপন ফুফাতো ভাই মাহমুদুর রহমান মামুন এর কাছে। এরপর ক্রমান্বয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করে পড়াশোনায় এগিয়ে যান আরো একধাপ। সাথে চলতে থাকে তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা। এইচ,এস,সি পাশ করে তিনি ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সেখান থেকে তিনি অনার্স এবং মাস্টার্স সফলভাবে শেষ করেন। পড়াশোনা চলাকালীন সময়েই তিনি তালিম নেওয়া শুরু করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার এবং সুরকার শ্রদ্ধেয় মিল্টন খন্দকার এর কাছে। প্রায় ১০ বছর এই গুণী মানুষটির সংস্পর্শে থাকেন মহিদুল হাসান মন। শ্রদ্ধেয় মিল্টন খন্দকারের সবচেয়ে পছন্দের এবং প্রিয় ছাত্রটিই হয়ে ওঠেন মহিদুল হাসান মন। এরপর ধীরে ধীরে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন তিনি। যেহেতু সে নতুন তাই নতুনদের নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। আর এই পথ চলাকে আরো মসৃণ করে দিলেন প্রখ্যাত সুরকার এবং সংগীত পরিচালক সুবল দাসের ভাগ্নে গুণী সংগীত পরিচালক সোহেল নিজামী। এই মানুষটির প্রতি মহিদুল হাসান মন এর অশেষ কৃতজ্ঞতা। তিনি তাকে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে দেন এবং ভালোবাসায় সিক্ত করেন। এরপর তিনি একের পর এক নতুন নতুন গান বাজারে নিয়ে আসতে থাকেন বিভিন্ন শিল্পীর মাধ্যমে। জনপ্রিয় শিল্পী মনির খানের যে ব্যথা দিয়েছো আমায় গানটির মাধ্যমে তার প্রথম কাজ শুরু হয়। এরপর তিনি সাজু, মহসিন খান, সাথী, সুমন বাপ্পি, ইমন খান সহ অনেকেরই গান করেন। ধীরে ধীরে তার নাম প্রচার হতে শুরু করে এবং সফলও হন তিনি। এরপর তিনি মিউজিক কম্পোজিশন এবং সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন। অত্যন্ত মেধার সাথে তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে। মেধাবী সংগীত পরিচালক মুশফিক লিটুর কাছ থেকে নেন নানান পরামর্শ এবং শিক্ষনীয় অনেক কিছুই। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা রামপুরা বনশ্রীতে অফ ট্রাক নামে একটি অডিও রেকর্ডিং স্টুডিও। বর্তমানে এই স্টুডিওর নাম “মন মিউজিক স্টুডিও”। এরই মধ্যে অনেক জ্ঞানীগুণী সুরকার এবং সংগীত পরিচালক এর সাথেও তিনি কাজ করেন মিউজিক কম্পোজার হিসেবে। শ্রদ্ধেয় সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, ন্যান্সি, পড়শী সহ চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ ক্লোজআপ ওয়ান খুদে গানরাজের শিল্পীদের সাথেও তার অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিউটি, বিন্দুকনা, ঝুমা,শাহিন খান, আশিক। গামছা পলাশ, কামরুজ্জামান রাব্বি, রিংকু, শফি মন্ডল সহ সবার সাথেই তার কাজ হয়েছে। তার হাত ধরে বর্তমান সময়ের আলোচিত শিল্পী রাজু মন্ডল অডিও ইন্ডাস্ট্রি তে আসেন। সাই রাব্বানা গানটি দেশে-বিদেশে সবখানে ঝড় তোলে। তুমুল জনপ্রিয় এবং সবার সুপরিচিত এই গানটির সুর এবং সংগীত পরিচালনা করেন মহিদুল হাসান মন। রাজু মন্ডল এগিয়ে যেতে থাকেন তার সান্নিধ্যে এবং যথেষ্ট সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত সবটাই মহিদুল হাসান মন এর অবদান বলে তিনি মনে করেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রাজু মন্ডলের সাইরাবানা, ফজলুর রহমান বাবুর মিছে মায়া, ইন্দুবালা মুভির গান কৃষ্ণ জানে রাধা জানে, কাজী শুভর তুই বড় বেইমান, আতিফ আহমেদ নিলয়ের বুক পিঞ্জিরার পাখি, ফারদিন খান এর লাশ সহ অসংখ্য গান রয়েছে তার সৃষ্টির ঝুড়িতে। এ সময়ের সবচেয়ে বেশি এখন আলোচিত যে গানটি রাজু মন্ডলের আজকে মরলে কালকে দুইদিন এই গানটি ইদানিং ভাইরাল হয়েছে এই গানটির সংগীত পরিচালনায় মহিদুল হাসান মন। মরলে কেন কান্দে মানুষ, নামাজ এই গানগুলো বেশ জনপ্রিয় এখন। বর্তমানে তিনি তার নিজের প্রতিষ্ঠান এবং youtube চ্যানেল মন মিউজিক স্টুডিওতে বেশি যত্নের সাথে কাজ করছেন। সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভিতে সংগীত পরিচালনার কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের তিনি একজন গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। বেশ কিছু মুভির গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি করে যাচ্ছেন নিয়মিত। গুণী সুরকার সঙ্গীত পরিচালকের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার চন্দ্রপুর শিবপুর রন খোলা মিয়া বাড়ি। শরীয়তপুর ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জনাব ইকবাল হোসেন অপু’র ভাতিজা তিনি। যুব রত্ন বিল্লাল হোসেন দিপু তাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং স্নেহ করেন। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক বিষয় থাকলেও তিনি মনোনিবেশ করেন সংগীতে এবং সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে। পারিবারিক সাপোর্ট উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা রয়েছে তার এখন বেশ। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি তিনি বিয়ে করবেন এবং দেখাশোনার কাজও শেষ। খুব শীঘ্রই আমরা একটি সুসংবাদ পাবো ইনশাল্লাহ।