অবশেষে শেষ হলো অপেক্ষার পালা ২২ বছর পর দোহার পৌরসভা নির্বাচন আজ

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২২

রির্পোটিংদোহার থেকে ফিরে আহমেদ সাব্বির রোমিও : ঢাকার দোহার উপজেলার ২২ বছর পরে পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছিলো প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের প্রতীকে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ ওন পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রার্থীদের এবং তাদের প্রতীক নিয়ে আলোচনা। মূলত ঈদের পর দিন থেকেই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মেয়র, কাউন্সিল ও মহিলা কাউন্সিলরা প্রার্থীরা। প্রচার প্রচারণা তালিকায় রয়েছে মাইকিং, উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। এই ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে মহিলাদেরকে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে তারা বিভিন্ন গ্রুপ ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছে প্রার্থীদের জন্য সেই সাথে দেওয়াও হচ্ছে চকলেট ও সিগারেট। দীর্ঘ ২২ বছর পর দোহার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৭ জুলাই। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ার এবার মেয়র পদে ৮ জন লড়বে এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলের লোকই বয়েছে ৬ জন। বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন হাত পাখার হয়ে মেয়র পদে লড়বেন আমজাদ হোসেন এবং বিএনপির সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার পছন্দের প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম লড়বে ইস্রি মার্কা নিয়ে। এছাড়া দোহার পৌরসভার কাউন্সিল পদে ৬১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১২ জন প্রার্থী লড়বে পৌরসভার নির্বাচনে। পৌর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও থেমে ছিলো না তেমনি পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোটর দের কাছে। ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন খান রাজিব বলছেন, আমি কাউন্সিল হলে ১০০ শতাংশ বয়স ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করব। যুবসমাজকে ধ্বংস করছে মাদক, আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করবো ইনশা আল্লাহ।’ এভাবে পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচন সম্পর্কে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে যে কেউকে আমার পছন্দ হতে পারে। তবে দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচনে যারা অংশ গ্রহণ করেছে তারা সবাই আমার প্রার্থী। দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দিন পর পৌরসভার নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মাঝে ভোটের আনন্দ ফিরে এসেছে। আগামীকাল ২৭ জুলাই পৌর নির্বাচন ইভিএম এ হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমরা সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছি।