তরুন নির্মাতা সবুজ খানের ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক“কান্না ঘর” ঈদ অনুষ্ঠানমালায়

প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২

রির্পোটিং বিনোদন প্রতিবেদক : আবির শিক্ষিত যুবক। হঠাৎ করে গ্রামে কান্না ঘর বানিয়ে সবার কাছে হাসির পাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনা, তার মা দিলরুবা বেগম, ও ভালোবাসার মানুষ মিমি। সকলে তাকে কান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলতে বললে ও সে রাজী হয় না। আর এতে মা ও মিমি দুই জনেই তার উপর ভিষন ক্ষিপ্ত হয়। আবিরের কান্না ঘরের বৈশিষ্ট হলো, এখানে যে কেউ মনের ইচ্ছা মতো চিৎকার করে কান্না করতে পারে। তাদের মাঝের জমে থাকা নীল কষ্ট দূর করতে পারে। কান্না করে মনকে সান্তনা দিলে অনেকেরই যুগ যুগ ধরে বহন করা সকল কষ্ট লাঘব হয়।আর এই কান্না ঘরের মাঝে আছে বিভিন্ন জীবন বোধের উক্তি। যা পরে মানুষ তার জীবনের মানে উপলদ্ধি করতে পারে। আছে একটি টেলিফোন, যা দিয়ে মনোবিজ্ঞানীর সাথে কথা বলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা সুইসাইডের মতো মহা পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখে এবং পরিবার পরিজনের সাথে জড়িয়ে জীবনের মানে খুজে পায়। আসলে আবির একটি হতাশাগ্রস্ত এলাকায় বসবাস করে। এখানকার মানুষ কোন না কোন কারনে খুব হতাশ হয়ে সুইসাইড করে। আর এই হতাশা ও সুইসাইড রোধ করতেই আবিরের এই অবিনব কান্না ঘর পদ্ধতি। একপর্যায়ে আবিরের মা, ও ভালোবাসার মানুষ মিমি কান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি আবিরের উপর নেমে আসে কঠোর খড়গ। ঘটতে থাকে একের পর ঘটনা। এক জরিপে দেখা যায়, এই কান্না ঘরের কারনে সুইসাইডের হার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আর হতাশা গ্রস্ত মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হয়েছে। আর এর স্বীকৃতি স্বরুপ আবির জাতীয় পুরস্কার পায়। তার মা, ভালোবাসার মানুষ মিমি ও গ্রাম বাসীর ভুল ভেঙ্গে যায় এবং তারা উপলদ্ধি করতে পারে, প্রতিটি মহল্লাতে একটি করে কান্না ঘর থাকা উচিৎ। যাতে করে হতাশাগ্রস্ত মানুষেরা তাদের জীবনের আসল মানে উপলদ্ধি করতে পারে এবং সুইসাইডের মতো মহা পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে।  এন . ডি আকাশ রচনায় কান্না ঘর নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-শ্যামল মওলা, সালহা খানম নাদয়িা, সূচনা সিকদার, সম্পা নিজাম, সেলজুক, জাহাঙ্গীর আলম, মশিউল হক মনা সহ আরো অনেকে। সবুজ খান এর পরিচালনায় বিশেষ নাটক “কান্না ঘর”আসন্ন ঈদে বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা সবুজ খান ।