রাজশাহী ভ্যাট অফিসের হয়রানিতে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট

প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২৩

রিপোর্টিং,জুবায়ের আদনান: নিয়মিত কর পরিশোধ করেও ভ্যাট অফিসের হয়রানির শিকার মেসার্স ওমর আলী। করোনার সংকটময় মুহূর্তেও কর পরিশোধ করেছেন প্রতিষ্ঠান টি কিন্তু ট্যাক্স ডকুমেন্টস জমা না দেওয়ায় অযথা হয়রানির শিকার মেসার্স ওমর আলী।

প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬এর বিধি ৬৫(২) অনুযায়ী পত্রের মাধ্যমে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশের জবাবে ওমর আলী বলেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর তাদেও মামলা প্রতিবেদনের ৬ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন যে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪৬ এর ১(ড) মাতোবেক উপকরণ-উৎপাদ সহগ এ ঘোষিত নেই এমন উপকরণ বা পণ্যের বিপরীতে পরিশোধিত উপকরণ কর রেয়াত অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত এবং যে মোতাবেক এই অনুচ্ছেদের গ উপ-অনুচ্ছেদে কর ফাঁকির পরিমান উল্লেখ করেছেন ৪,০৬,১২,২৯২/- টাকা।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর তাদের প্রতিবেদনের অনুচ্ছেদ ৬ এর ৪ নম্বর লাইনে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন তর্কিত বিষয়টি অনিয়মিত উপকর রেয়াত হিসাবে বিবেচিত। তর্কের খাতিওে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর এর অভিযোগ আমলে নিলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ৮৫(১) এর জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর এক্ষেত্রের প্রকৃত তথ্য গোপন করেছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেট-৩ রাজশাহী দপ্তর আমাদের প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত জুলাই-২০১৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২০ মাসের দাখিলকৃত মাসিক দাখিলাপত্র মূসক-৯০১ যাচাই করে তর্কিত এই ১৫ মাসের গৃহীত রেয়াত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪৬(১)(ড) মোতাবেক অবৈধ ঘোষনা করেছেন।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল দলিলাদি ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৭৩ সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষন না করে কেবল মাত্র ধারনার ভিত্তিতে আমাদের গৃহীত রেয়াত অবৈধ ঘোষনা করেছেন, তার কারন হল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪৬ এর ১(ড) সঠিক ভাবে বিশ্লেষন করেনি।

আমাদে প্রতিষ্ঠান মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪৬ এর ১(ড) মোতাবেক উপকরণ-উৎপাদ সহগ মূসক-৪.৩ ঘোষনা করেছে। কিন্তু মূসক-৪.৩ উপকরণ-উৎপাদ সহগ উপকরনের নাম উল্লেখ না থাকলে তার বিপরীতে পরিশোধিত মূসক রেয়াত গ্রহন করা যাবে না।

আমাদের প্রতিষ্ঠান তর্কিত ১৫ মাসের যে সকল উপকর ক্রয় করেছে তার নাম মূসক-৪.৩ উপকরণ-উৎপাদ সহগ এ যথাযথ ভাবে উল্লেখ আছে। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর এই বিসয়টি অতি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তিনি তার মামলা প্রতিবেদনে আমাদের প্রতিষ্ঠান কি কি উপকরনের বিপরীতে রেয়াত গ্রহন করা হয়েছে তা উল্লেখ করেননি।

তিনি আরও বলেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে এড়িয়ে গেছেন। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪৬ এর ১(ঙ) মোতাবেক বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্রয় হিসাব মুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে রেয়াত গ্রহন অবৈধ। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান সঠিক নিয়মে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মূসক-৬.১ ক্রয় বহিতে সঠিক সময় ও সঠিক নিয়মে অন্তভুক্ত করে রেয়াত গ্রহন করেছে (কপি সংযুক্ত-২)। কিন্তু বিভাগীয় দপ্তর তথ্যটি তাদের মামলা প্রতিবদনের কোথাও উল্লেখ করেননি।

কিন্তু কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর তর্কিত মামলায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ন তথ্য গোপনা করেছেন। তা হল আমাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিলকৃত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন বিধিমালা ২১ মোতাবেক মূসক-৪.৩ উপকরণ-উৎপাদ সহগ ঘোষনাপত্র।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর এই গুরুত্বপূর্ন তথ্যটি সুকৌশলে গোপন করেছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠান মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এর বিধিমালা ২১ মোতাবেক সূসক-৪.৩ উপকরণ-উৎপাদ সহগ ঘোষনা করেছে । এই ঘোষনাপত্রে তর্কিত ১৫ মাসে যে সকল উপকরন ক্রয় করা হয়েছে সেই সকল উপরনের নাম যথাযথভাবে উল্লেখ আছে। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর আমাদের ঘোষনা আড়াআড়ি যাচাই করলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যেত, কিন্তু কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর তা না করে তর্কিত ১৫ মাসের সমুদয় রেয়াত অবৈধ ঘোষনা করেছে যা আইনের মোতাবেক সঠিক নয়।

আমাদের প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে উপরোক্ত বক্তব্য ও দাখিলকৃত দলিলাদি বিচার বিশ্লেষণ করে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ রাজশাহী দপ্তর কর্তৃক দায়েরকৃত উপরোক্ত ২নং সূত্রের মামলাটি বাতিল পূর্বক আমাদের গৃহীত রেয়াত বৈধ ও সঠিক বিবেচনা করার জন্য বিণীত অনুরোধ করছি।

ব্যবসায়ী বান্ধব পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে মেসার্স ওমর আলী’ -কে বাচানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা।