রাজউকের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারি সেবাগ্রহীতাদেরকে জিম্মি করে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২৩

রিপোর্টিং,বিশেষ প্রতিবেদন : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র-নকশা অনুমোদনের জন্য ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হন সেবাগ্রহীতারা। এসব অর্থের সিংহভাগই দালালের মাধ্যমে যায় কর্মকর্তাদের হাতে। রাজউকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, দালাল ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে চুক্তি করে সুনির্দিষ্ট হারে নিয়মবহির্ভূত অর্থ নেওয়া হয়। আর অর্থ দিতে ব্যর্থ হলেই সেবাগ্রহীতাকে অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস।

অনিয়ম আর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ঘটনা বেশি ঘটে রাজউকের কানুনগো, সার্ভেয়ার ও রেখাকারের মাধ্যমে। বড় কর্মকর্তার তাগিদ থাকলেও কোন ভাবেই তারা পেরে উঠছেন না ছোট কর্তার কারণে। আবেদন জমা হলেই নানাভাবে ভুল ধরিয়ে অর্থ আদায়ের নাটক শুরু করেন তারা। এভাবেই প্রতিনিয়ত সাধারণ সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিক সেবাগ্রহীতা ক্ষোভপ্রকাশ করেন এই প্রতিবেদকের কাছে। সব এলাকাতে অনিয়ম হলেও তাদের দাবি,বনশ্রী,সবুজবাগ, বাসাবো, বাড্ডা,মিরপুর,উত্তরা এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় এ অনিয়মের পরিমান বেশি।

সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অধিকাংশই আবাসন কোম্পানির মালিক,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জমির মালিক। তাদের দাবি,কোনো প্রকল্প দ্রুত শেষ হলে সরকার সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায়,দেরি হলেই রাজস্ব হারায়। এ অনিয়ম বন্ধ হলে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে,তেমনি আবাসন সংকট দূর হবে।

এ বিষয়ে রাজউক জানায়,এখন থেকে পাঁচদিনের বেশি ফাইল ধরে রাখতে পারবেন না কোনো কর্মকর্তা। এই সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে অন্য কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে ফাইল। মনিটরিং করা হবে। এরপরও যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে,তা মৌখিক বা লিখিত হলেও তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুত্র জানায় দালালদের দৌরাত্ম্য বেশি রাজউকে। দালালদের বেশিরভাগ রাজউকের কর্মচারী, রয়েছে বহিরাগতরাও।আবার তাদের মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট। বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এমন অনিয়ম করেন তারা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে এ অনিয়ম হয় আরো অনেক বেশি। তারাই মূলত অর্থের লেনদেন করেন। বিশেষ করে আবেদনে ভুল রয়েছে এমন অজুহাতে সেবাগ্রহীতাকে অনুমোদনের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য করেন।

একটি আবাসন কোম্পানির কর্মকর্তা রিফাত রির্পোটিং এর সাথে কথা হয় ভুক্তভোগী রিফাতের সঙ্গে। রিফাত বলেন, রাজউকে ফাইল জমা হলেও মাসের পর মাস সময় নেন নিচের লেবেলের (দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি) কর্মকর্তারা। কোনো ভুল না থাকলেও অর্থের জন্য ভুল ধরার চেষ্টা করেন তারা। এটি বেশি হয় অঞ্চল-৬ ও ৫ এ। সেখানের কানুনগো, সার্ভেয়ার ও রেখাকার পর্যায়ে এ সমস্যা বেশি হয়।’

একই সমস্যার কথা বলেছেন একাধিক ব্যক্তি ও আবাসন ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে কথা হয় অঞ্চল-৬ এর এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি রির্পোটিংকে বলেন, ‘আপনি যেটা জানেন সেটা তো আমিও জানি, এখানে মধ্যবর্তী কিছু নেই। রাজউকে কি চলে না চলে সেটা বইতে স্পষ্ট করা আছে। এখানে কারও নাম বললে হবে না, কে কী জন্য বলে সেটা তার বিষয়।’

অঞ্চল-৬ এ বেশি দিন ফাইল জমা থাকে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অঞ্চল-৬ এ আগের ফাইল জমা ছিল, আবার মধ্যে সার্ভার হ্যাক হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। সেই হিসেবে লোডটা একটু বেশি, তবে নতুন ফাইলতো খুব একটা আটকে থাকে না। নিয়ম মতোই হচ্ছে,উপরের স্যারের নির্দেশে।’

রাজউকের সেবাগ্রহীতারা জানান, নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে নাগরিক সনদ ও বিধিমালায় ছাড়পত্র অনুমোদনের সময় যথাক্রমে ১৫ দিন ও ৩০ দিন। তবে, এক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য করা হয়। সুনির্দিষ্ট হারে নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেওয়া না হলে নকশা অনুমোদন হয় না এসময়ের মধ্যে। এজন্য মাসের পর মাস পড়ে থাকে ফাইল। এক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে এক লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থের লেনদেন হয়।

তারা আরও জানান, রাজউকের ছাড়পত্র অনুমোদনে নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করা হয়। জনবল ঘাটতি আর কাগজ পরীক্ষার কথা বলে আটকে রাখা হয় ফাইল। এর মধ্যে নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিলেই মেলে অনুমোদন।

এ বিষয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি বলেন, ‘রাজউকে ফাইল কেন দিনের পর দিন পড়ে থাকবে, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি- বড় কর্মকর্তাদের আগ্রহ আছে, দ্রুত ফাইল ছেড়ে দেওয়ায়। কিন্তু নিচের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এটা নিয়ে গড়িমসি করেন। তারা খুঁটে খুঁটে ভুল ধরায় ব্যস্ত থাকেন। অর্থ ছাড়া তাদের কাছে ফাইল নড়ে না, এমন অভিযোগ একাধিক এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকল্প রেডি হলেই সরকারের রাজস্ব আসে। প্রকল্প পড়ে থাকলে রাজস্ব আদায় হয় না। আমাদের দাবি, কোনো ফাইল যেন পড়ে না থাকে। সবাই যেন সমানভাবে সেবা পায় রাজউক থেকে। এতে আবাসন সংকট দূর হবে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে এ খাত।’

নানা অভিযোগ-আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের সদ্য বদলি হওয়া সাবেক সদস্য উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ তন্ময় দাস রির্পোটিংকে বলেন ‘অনলাইনে আবেদন হলে কোনো সমস্যা আছে কি না সেটা নিচের লেবেল থেকে কোয়ারি করা হয়। এটাও ঠিক যে, মানুষকে হয়রারি করা হয়, তবে মানুষ ৫ থেকে ১০ শতাংশ হতে পারে। তবে ৯০ শতাংশ কোয়ারি সঠিক হয়। এজন্য রাজউক একটা নীতিমালা করেছে, কোন কর্মকর্তার কাছে কতদিন ফাইল পড়ে থাকছে। একজন পরিদর্শক সর্বোচ্চ পাঁচদিন ফাইল ধরে রাখতে পারবেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত না দিতে পারলে অটোমেটিকভাবে পরবর্তী কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে ফাইল। তিনিও সমাধান না দিতে পারলে এর উপরের কর্মকর্তার কাছে ফাইল চলে যাবে। যাতে নিদিষ্ট সময়ে ফাইল দিতে ব্যার্থ কর্মকর্তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।’

তিনি বলেন, ‘একজনের কাছে দীর্ঘদিন ফেলে না রেখে অন্য জনের কাছে যাবে ফাইল। একটি প্ল্যান পাস করতে ৪৫ দিন লাগে, ছাড়পত্র নিতে ৩০ দিন। এটা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দেরি করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে (মৌখিক বা লিখিত) ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সেবাগ্রহীতাদের একাধিক অভিযোগের সুত্র ধরে রাজউক কর্মকর্তা- কর্মচারিদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে রির্পোটিং। দীর্ঘ অনুসন্ধানে রাজউকের সৌভাগ্যবান কর্মচারীর অঢেল অর্থবিত্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

কেরানি দম্পতি এখন ঘুষের রাজা-রাণী : রাজউকের কেরানি দম্পতি আনোয়ার হোসেন আলম এবং তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর ফারহানা প্রভাবশালী হিসাবে পরিচিত। তাদের অঢেল সম্পদের গল্প রাজউকে সবার মুখে মুখে। যাত্রাবাড়ী ১৬/২ শহীদ ফারুক রোডে ৯ তলা ভবন, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নিজস্ব বাড়ি, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩ কাঠার ২টি প্লট, উত্তরখান মাস্টারবাড়ী এলাকায় ৭ কাঠার প্লট, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে ৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ১৬শ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ অঢেল সম্পদের খবর আর গোপন নেই। ব্যক্তিগত গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো গ-৪২০১৩৮) তারা অফিসে যাতায়াত করেন।

বাড়ী ও রিসোর্টের মালিক কেরানি সবুজ : বরাদ্দপত্রে ছবি বদল,ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট জালিয়াতি ও নথি গায়েবসহ বিস্তর অভিযোগ আছে পূর্বাচল স্টেট শাখার কেরানি জাহিদুল ইসলাম ওরফে সবুজের বিরুদ্ধে। তিনি সর্বসাকুল্যে বেতন পান ৩২ হাজার টাকা। অথচ রাজধানীর সবুজবাগে দুই হাজার বর্গফুটের নিজস্ব বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করেন সবুজ। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ভবানিপুরে সাজেক ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলেজ নামে রিসোর্ট রয়েছে তার। এছাড়া যৌথ মালিকানায় রাজধানীর দক্ষিণ মাদারটেক চৌরাস্তাসংলগ্ন কবরস্থানের কাছে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করছেন।

একটার পর একটা বাড়ী কিনে চলেছেন কালা জাহাঙ্গীর : জোন-৩-এর ( সাবেক) বর্তমানে নারায়নগঞ্জ অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কালা জাহাঙ্গীর রাজউকে কোটিপতি হিসাবে পরিচিত। ১০ তলাকে ১২ তলা এবং ১২ তলাকে অনায়াসে ১৫ তলায় রূপান্তরে জাহাঙ্গীরের জুরি মেলা ভার। খোদ রাজউকেই তাকে বলা হয় প্ল্যান জালিয়াতির ‘ডন’। জাহাঙ্গীরের দুর্নীতি-অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে ৮ আগস্ট দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন জনৈক আব্দুল মতিন। পরবর্তীতে আরো কয়েকজন জাহাঙ্গীরের দুর্নীতি-অপকর্মের বিস্তারিত জানিয়ে দুদকে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়,‘জাল-জালিয়াতি ও ঘুস বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বনে গেছেন জাহাঙ্গীর। ঢাকার অদূরে সাভারে প্রাসাদোপম বাড়ি আছে তার।

কোটি কোটি টাকার মালিক রেবেকা : ঢাকায় একাধিক বাড়ির মালিক পূর্বাচল এস্টেট শাখার তত্ত্বাবধায়ক রেবেকা ইয়াসমিন। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে, কদমতলা বাসাবো ও প্রগতি সরণিতে তিনটি বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে । রেবেকা বর্তমানে উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডের ৭৭নং বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করছেন।

টাকার হিসাব রাখা মুশকিল ধনকুবের জাহাঙ্গীরের : পূর্বাচল এস্টেট শাখার অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করেন। উত্তরায় বিশাল রেস্টুরেন্ট আছে তার। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে ৭১ নম্বর প্লটে ‘রাজউক রাজীব কসমো শপিং কমপ্লেক্সে’ তার রেস্টুরেন্টের নাম ‘প্যান ডি এশিয়া’। এছাড়া কসমো শপিং কমপ্লেক্সের অন্যতম মালিক তিনি। বর্তমান বাজারে সেখানে একেকটি ফ্লোরের মূল্য ১০ কোটি টাকারও বেশি।

অঢেল সম্পদের মালিক কাইয়ুম : নকশা শাখার অফিস সহকারী আব্দুল কাইয়ুমকে ‘ঘুসের রাজা’ বলা হয়। তিনি অঢেল সম্পদের মালিক। রাজধানীর ডেমরা এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবন উঠছে তার। ডগাইর ফার্নিচার মোড়ে রাজউকের কাইয়ুম বললে সবাই একনামে তার বাড়ি চেনে।

জালিয়াত হাফিজুরের হাত অনেক লম্বা : পরিচালক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা করে দুদক। কিন্তু মামলা মাথায় নিয়েও তিনি দুদফা পদোন্নতি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন। অনেকেই বলেন, হাফিজুরের হাত নাকি অনেক লম্বা। প্রভাবশালী মহলে হট কানেকশন থাকায় তার কিছুই হবে না। দুর্নীতির অঢেল টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন হাফিজ। পূর্বাচল প্রকল্পের কালীগঞ্জ অংশে বেনামে অন্তত ১০টি প্লটের মালিকানা আছে তার।

উচ্চ মাত্রার ঘুসখোর মলি : উচ্চমান সহকারী (অতিরিক্ত) ফাতেমা বেগম ওরফে মলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভূরিভূরি। মেহেদী হাসান নামের এক ভুক্তভোগী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মলির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, ‘মলি একজন চূড়ান্ত ঘুসখোর কর্মচারী। চলাফেরা করেন নতুন মডেলের নোহা মাইক্রোবাসে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৪৬১৮)। এছাড়া রাজধানীর ১৫/এ জিগাতলায় ডার্লিং পয়েন্ট অ্যাপার্টমেন্টে তার ৩টি ফ্ল্যাট আছে। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এ ছাড়া পূর্বাচলে তিন কাঠার ৩টি প্লটসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ আছে তার।

বিত্তবান মিল্কি : উত্তরা এস্টেট শাখায় কর্মরত সহকারী পরিচালক সামসুল আলম ওরফে মিল্কির অর্থবিত্তের হিসাব কষতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। শুধু রাজধানীতেই শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। মিল্কির পুরো পরিবার অভিজাত জীবনযাপন করে। ব্যবহার করেন কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ি।

এছাড়া রাজউকের ডাকসাইটে দুর্নীতিবাজের তালিকা রির্পোটিং এর হাতে এসেছে তারা হলেন নিন্মমান সহকারী মহিউদ্দীন ওরফে মাস্টার মহিউদ্দিন, রাজউকের পাম্প চালক নজরুল ইসলাম,কেরানি মোশাররফ হোসেন ওরফে স্কাই এবং পূর্বাচল প্রকল্পের কম্পিউটার অপারেটর গিয়াস উদ্দিন ওরফে পাঠান। এছারাও আছেন পূর্বাচল প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ, পূর্বাচল এস্টেট শাখার উচ্চমান সহকারী আবু জোহা মুরাদ ও নিন্মমান সহকারী আব্দুল ওয়াহাবসহ কয়েকজন।

আগামী সংখ্যা থেকে রির্পোটিং প্রতিটি দূর্নীতিবাজের সম্পদসহ বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করবে।