নির্বাচনের জন্য পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৩

রিপোর্টিং,কুমিল্লা প্রতিনিধি:বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন,নির্বাচনের জন্য আমরা পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।নির্বাচনের সময় আমাদের যে প্রস্তুতি নেয়ার কথা আমরা তো অনেক আগেই নিয়েছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি।আমাদের সরঞ্জামও প্রস্তুত করেছি।দায়িত্ব পালন করার জন্য বিজিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করণ অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন বিজিবি পরিচালক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগে. জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ,কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) সিগন্যাল অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সহকারী পরিচালক ইমরুল হাসানসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।এসময় বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন,আমরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঠেঁকাতে কাজ করছি।বিশেষ করে মাদক নিয়ন্ত্রণে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।মাদক আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।

কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।এই এলাকা দিয়ে মাদকের বড় চালান আসে।এখন রুখে দেয়া হচ্ছে।সারা কুমিল্লার একটি এলাকায় এত মাদক আসলে সারাদেশে কত পরিমাণ প্রবেশ করছে তা ধারণা করুন।কুমিল্লা থেকে রুট বদলে এখন অন্য রুটে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়ন্ত্রণের।বিজিবির মাদক নিয়ন্ত্রণে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে জানান।মহাপরিচালক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ বাহিনী কালের পরিক্রমায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

একজন প্রশিক্ষিত সৈনিকের বন্ধু হচ্ছে তার ব্যক্তিগত অস্ত্র।কাজেই এই অস্ত্রের ওপর তার পারদর্শিতা থাকতে হবে।দেশপ্রেম এবং মনোবল নিয়ে প্রতিটি বিজিবি সদস্য দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকে।আর এই প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হচ্ছে পেশাগতভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। পেশাগত উৎকর্ষতার একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং ফায়ারিং এ দক্ষতা অর্জন।

বিজিবি ১০ সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধি করণ অনুষ্ঠানে ৩৬ হাজার ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল,ছয় হাজার ৯৩৮ কেজি গাঁজা,৬৬ হাজার ৭৭০ বোতল বিদেশী মদ,চার হাজার ৭০২ ক্যান বিয়ার,৫ হাজার ১৩ বোতল ইস্কাপ সিরাপ,৭৩ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,৩২ হাজার ৩৫৮ পিস বিভিন্ন অবৈধ ট্যাবলেট ও এক লাখ এক হাজার ৮৯২ পিস সিনোগ্রা ট্যাবলেট ধ্বংস করা হয়।