রামগঞ্জের ৬নং লামচর ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাঁই

প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২২

রিপোর্টিং,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জের ৬নং লামচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাশিমনগর গ্রামের নতুন বাড়িতে (সাবেক বাইল্লার বাড়ি) অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ছাঁই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সবকিছু হারিয়ে শোকের মাতম চলছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ওই বসত ঘরে স্ত্রী এবং তিন সন্তান ১)সিফাত, ২)লামিয়া, ৩)শামীম ওই বসত ঘরে বসবাস করতো, প্রবাসের স্ত্রী ছোট দুই সন্তানকে ঘরে রেখে জরুরি কাজে রামগঞ্জে যায়। হঠাৎ করে তাদের ওই ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক ঘরে থাকা তার ছেলে মোঃ সিফাত হোসেন (১৫) ও তার ছোট বোন লামিয়া (৮) আগুন দেখে তারা দৌড়ে ঘরের বাহিরে আসে এবং চিৎকার কান্নাকাটি শুরু করলে, খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, মোহাম্মদীয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এবং রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের খবর দেয়, তাৎক্ষণিক একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে বসতঘরটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মিভূত হয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত পরবর্তীতে তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ‍্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

রামগঞ্জ থানাধীন মোহাম্মদীয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবু ইউসুফ জানান, খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এরই মধ‍্যে লামচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ উল‍্যাহ পাটোয়ারী জিসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি তাকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস‍্যদের নতুনভাবে থাকার জন‍্য সাময়িকভাবে থাকার ও খাওয়ার ব‍্যবস্থার পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।
এ ব‍্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামণা করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির রিজভী,
যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক, ৩ নং ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক, ইউপি সদস্য বাচ্চু, কালিকাপুর গ্রামের ওমর ফারুক ও ইউপি সদস্য শাহজাহান কবির উপস্থিত হয়ে সান্তনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

প্রবাসী দেলোয়ারের স্ত্রী জানান: আমাদের ওই ঘরে মধ‍্যে ফ্রিজ, খাট, আলমিরা, টেলিভিশন, সিলিং ফ‍্যান , হাঁস-মুরগি কবুতর সহ যাবতীয় জিনিসপত্র ছাঁই হয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়।